বাংলা পোস্টসমূহ
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
( বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এটি একটি অতিদীর্ঘ পোস্ট--- বৃষ্টিভেজা রথের দিনের মতই অল্প জল-কাদা মাখা, এবং শুরুতে মুচমুচে হলেও শেষে বাসী পাঁপড়ভাজার মত কিঞ্চিৎ ন্যাতানো। তাই নিজের বহুমূল্য সময় ব্যয় করে যদি পড়েন, এবং পড়ার পরে মনে হয় কোনোভাবে আপনার মন এবং মগজ সংক্রমিত হতে পারে, ভুলে যাবেন না - নিজ নিজ স্যানিটেশন, নিজ নিজ দায়িত্বে। )
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
বাড়ি থেকে শেষ বেরিয়েছি ২১শে মার্চ সন্ধ্যেবেলা। সেদিন আমাদের পাড়ার বাজারে , রাস্তায়,কোনো মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। আমারও ছিল না। ঘন্টাখানেকের জন্য অদ্ভূত আতংকের মধ্যে থেকে বাড়ি ফিরেছিলাম দরকারি কিছু জিনিষ কিনে। ঋতুপরিবর্তনের ফলে স্বাভাবিক গলা খুশখুশ করল। আমি বোধহয় সংক্রমিত হয়েছি --- এমন আতংকে খানিক্ষণ বুক ধড়ফড় করল। ধীরে ধীরে নিজেকে শান্ত করলাম। আমার কিছু হয়নি।
সেই একবিন্দু আপেক্ষিক শান্তি নিয়েই ঘরবন্দী হয়ে রয়েছি গত ...কতদিন? হিসাব থাকছে না। বাইরের যেটুকু বাজার করার দরকার, করে আনছে আমার ভাই। আমাকে বেরোতে দিচ্ছে না বা আমায় বেরোতে হচ্ছে না - ব্যাপারটাকে দুইভাবেই দেখা যায়। আরও বেশ কিছু আপাত 'প্রিভিলেজ' এর সঙ্গে এটাও আমার ব্যক্তিগত 'প্রিভিলেজ'।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
সকাল থেকে একটা লেখা হোয়াটস্যাপে ঘুরে আসছে, ফেসবুকেও দেখলাম। সেই 'কবিতা' করোনার আতঙ্কে বাঙালির বাজার করা নিয়ে। তার শুরুর দিকে গুচ্ছ বাজার করার বিস্তৃত বিবরণ দেখে এই দুঃসময়ে বিবমিষা জাগছে। সেই সৃজনশীল লেখার শেষ চার লাইন হলঃ
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
সারাদিন ধরে কানে/চোখে আসা বিচ্ছিন্ন কিছু তথ্য, বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দুয়েকটি সরাসরি পড়িনি বা টিভিতে দেখিনি,তবে শুনেছি আস্থাভাজন মানুষদের থেকে, বা পড়েছি বিশ্বাসযোগ্য মানুষদের লেখায়।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
( বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ দীর্ঘ, আশঙ্কিত এবং সমাধানবিহীন পোস্ট)গত সপ্তাহে বৈদ্যবাটিতে, গঙ্গার ধারে যখন পিসতুতো ভাইয়ের বিয়ের আনন্দে হইচই করছি আর দেদার ছবি তুলছি, এমন সময়ে, সল্ট লেক সেক্টর ফাইভের এক প্রথমসারির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত আরেক ভাই জানাল, তার অফিসে সোমবার থেকে 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' জারি করা হয়েছে। এতদিন চীনে আছে, জাপানে আছে, ক্রুজ শিপে আছে, ইতালিতে আছে করতে করতে করোনা ভারতেও এসেছে এসেছে হচ্ছিল, কিন্তু হঠাৎ করে এই খবরে একটু অবাক হয়েছিলাম বৈকি। কিন্তু পুরোপুরি বিশ্বাস করিনি। রবিবার দিব্যি লোকাল ট্রেনে ভীড়ভাট্টার মধ্যে কলকাতায় ফিরলাম। বিয়েবাড়ির অনিয়মের ফলে শরীর একটু গোলমাল করাতে সোম-মঙ্গলবার খানিক ঝিমিয়েই ছিলাম। চার-পাঁচ দিন একেবারেই কাজকম্মো করিনি, সেসব শুরু করার চেষ্টা করছি সবে।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: বাসী খিচুড়ি
আমার বেড়ে ওঠার শিল্পশহর হিন্দুস্থান কেবল্স্-এ, আমাদের দোতলা , এবং পরে কিছু তিনতলা কোয়ার্টারের একতলার বাসিন্দাদের মধ্যে বেশিরভাগই কোয়ার্টারের সামনে বাগান করতেন। খুব শৌখিন মরসুমি ফুল থেকে শুরু করে একেবারেই ন্যাড়া, মূলতঃ জামাকাপড় শুকাতে দেওয়া, সাইকেল/ গাড়ি রাখার জন্যই ঘিরে রাখা- এমন নানা ধরনের বাগান ছিল। . একটি একতলা কোয়ার্টারের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে আমাদের ও একখানি নানারকমের গাছপালা ভরা বাগান ছিল। আর আমাদের ঠিক মুখোমুখি দরজার মামা-মামীদের ও একখানা বাগান ছিল। মামা-মামী মানে শ্রী চিত্তরঞ্জন মুখার্জি আর শ্রীমতী সর্বানী মুখার্জি। চিত্তমামা বাবার সহকর্মী, আমার মায়ের চাকরি-সম্পর্ক্তুতো দাদা, তাই আমাদের মামা। মায়ের পিতৃকুলের পদবী মুখোপাধ্যায়, আর দুইজনে কাছাকাছি সময়ে নাকি হিন্দুস্থান কেবল্স্ এর স্কুলে কাজে যোগ দিয়েছিলেন, তাই সেসময় আশেপাশের লোকজন ফর্সা ফর্সা চেহারার চিত্তরঞ্জন মুখার্জি স্যার আর চন্দনা মুখার্জি দিদিমণিকে নাকি ভাই-বোন ঠাউরেছিলেন-এমন কথা মায়ের কাছে শোনা।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
বছর তিনেক আগে আমাদের বাড়িতে পুনে থেকে আসেন আমার ভাইয়ের বন্ধু প্রদীপ। প্রদীপের উদ্যোগে আমাদের পাঁচতলার ফ্ল্যাটের ছোট্ট বারান্দায় গোটা কয়েক মাটির টব বসিয়ে মিনি কিচেন গার্ডেন করার পরিকল্পনা করে আমার ভাই। ব্যাপারটা আমার মোটেও পছন্দ ছিল না। আমাদের বারান্দা উত্তর-পশ্চিমমুখী, ভালো রোদ পায় না, এখানে গাছ হওয়ার অসুবিধা আছে। তাই খুব গজগজ করেছিলাম- কে দেখবে, কে যত্ন নেবে এইসব আর কী। তারপরে গত তিন বছরে টুকটুক করে কম শাক-সবজি চাষ করলাম না! যেটা হয়েছে, সেটাকে চাষ বলে না, সেটাকে শখ বলে।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: অনুধ্যান
এক সকালে ওরা রাখালকে তুলে
ওকে পেটাতে পেটাতে
অপেক্ষমান জীপটার ভেতরে ঠেসে
নিয়ে চলে গেল।
আমার কী আসে যায় তাতে
যতদিন আমার হেঁশেলে
দুধ-ভাত মজুত আছে?
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: পাঁচমিশালি
গতকাল( কাগজে কলমে গত পরশু অর্থাৎ ২ রা সেপ্টেম্বর ২০১৯) অনেক অনেক দিন পরে, হঠাৎ করে রাত পৌনে বারোটার নাগাদ লোডশেডিং হল। হ্যাঁ, আমরা তো লোডশেডিং-ই বলি। ছোটবেলার অভ্যাস। তখন সারাদিনে কয়েকবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়া এবং আসাটা নিয়ম ছিল।আর সেই আসা-যাওয়ার গল্পের ‘এক- কথায়- প্রকাশ- করো’ নাম ছিল ‘লোডশেডিং’ । বেশ কিছুবার এমনও গেছে যখন দিন দুয়েক টানা বিদ্যুৎ সংযোগ থাকেনি। না, সেই সময়ে ঝড়-বৃষ্টি-সাইক্লোন-বন্যা কিছুই হয়নি। তবুও আমরা সেই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছি। পরে কলকাতা শহরে এসেও লোডশেডিং -এর মুখোমুখি হয়েছি কয়েকবার।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: বাসী খিচুড়ি
বিকেল সাড়ে চারটে বা পাঁচটা বাজে। কিংবা সাড়ে পাঁচটা। পশ্চিমের সবুজ খড়খড়ি আর চারকোনা মোটা শিকের জানলা দিয়ে এসে, লাল ফাটাফুটি মেঝেতে লুটোপুটি খাচ্ছে শেষ বিকেলের সূর্যের আলো। একটু নরম, একটু মনমরা। মেঝের এক কোণে, বাসন রাখার ছোট তাকের পাশে বসে সাদা, চেক চেক ছাপ, ফুল ছাপ বিভিন্ন রকমের কাপে চা ঢালছেন দিদু। কেটলি থেকেই মনে হয়, এখন আর মনে পড়ে না চা কেটলিতে তৈরি হত নাকি সসপ্যানে। সদ্য নেভানো জনতা স্টোভের কেরোসিন পোড়া ধোঁয়ার সাথে মিশে যাচ্ছে সদ্য ঢালা চায়ের আমেজ মেশানো ধোঁয়া। দিদুর সামনে গোল হয়ে বসে বাড়ির সদস্যেরা। দাদুকে ঘরে গিয়ে কেউ চা দিয়ে এসেছে।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: পাঁচমিশালি
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
এক পশলা বৃষ্টি পড়লে
আপনার বাড়ি যাব।
অনুমতি পেলে নতুন দুটো
লেখা পড়ে শোনাব।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
একটা গাছে ফাগুন মাসে
নীলচে নীলচে স্বপ্ন ফোটে
আরেক গাছে বোশেখ মাসে
হলুদ আলোর ঝর্ণা ছোটে।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
রাতের দিকে বাজার করতে গেছনু। আমাদের পাড়ার পছন্দের সবজী-বালকটি রাত আটটার পরে তার দোকান সাজিয়ে বসতে পছন্দ করে। হেব্বি বুদ্ধিমান। অফিস-করে-কেলিয়ে-পড়া জনগণকে বাড়িতে ঢোকার পথে খপ করে ধরা যায়, ঝপাঝপ আলু-পটল-বেগুন-টমেটো বিক্রি হয়ে যায়। কেউ বেশি দরাদরী করার মত উৎসাহ রাখে না। তাই তাকে ধরতে গেলে গোধূলী লগ্নে হাতে চাট্টি থলে নিয়ে বেরোলে চলে না, সান্ধ্য লগ্ন পার করে বেরোতে হয়। যাইহোক, তার কাছে দাঁড়িয়ে আলু-পটল ইত্যাদির হিসেব নিকেশ করতে করতে শুনতে পাচ্ছিলাম পাড়ার মোড় থেকে মাইকে অনর্গল ঘোষণা- বম্বে খ্যাত সিল্পি গান গাইবেন, কারা যেন বিখ্যাত নাচ করবেন ইত্যাদি পোভিতি। কেন, সেটা বলাই বাহুল্য- এটা হল মাই ফ্রেন্ড গানেশা উইক। মোড়ের মাথায় প্যান্ডেলে ইয়াব্বড় বক্রতুন্ড মহাকায় সূর্যকোটি সমপ্রভঃ হয়ে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন... ( আইব্বাশ! টিভিতে শুনে শুনে একটা লাইন গোটা ঠিক মুখস্থ করে লিখেও ফেললাম); তো সেই গণপতি বাপ্পার অনারে সাতদিন ধরে সন্ধেতে ওইসব গান বাজনা ইত্যাদির ব্যবস্থা।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: গল্প
ঘুম থেকে উঠে, চোখ কচলাতে কচলাতে, টয়লেটের দিকে না গিয়ে প্রথমেই বারান্দার দিকে পা বাড়ালো মিতিল। দরজার পর্দাটা সাবধানে সরিয়ে উঁকি দিল। শীত শেষের দিকে। তাই সকালের আলো দিব্যি ফুটেছে। সূয্যিমামা এখনো পুরো তেজে সেজেগুজে অফিস খুলে বসেননি। বেশ একটা নরম নরম আলো চারিদিকে। কোণের দিকের গ্রিলের গায়ে বাঁধা রয়েছে দুটো মাটির হাঁড়ি। মিতিল সেই হাঁড়ি দুটোর দিকে ভালো করে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। নাহ! আজকেও আসেনি। মনমরা হয়ে ফের বিছানামুখো হল মিতিল। ধুস... ভাল্লাগে না।
কিন্তু বিছানায় একটা পা ওঠানোর আগেই ঘরে ঢুকলেন মা।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: সিনেমা দেখার পরে
‘জুটোপিয়া’ - সে এক জবরদস্ত বিশাল শহর। শহর না বলে মহানগর বলাই ভালো। কী নেই সেখানে! আকাশছোঁয়া বাড়িঘর, বড়ো বড়ো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট, জাদুঘর, স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস, শপিং মল, দারুণ উন্নত সব পরিবহন ব্যবস্থা... বলে শেষ করা যাবে না। তা এই দারুণ গোছানো আধুনিক শহরে কিন্তু একজনও মানুষ থাকে না। তাহলে কারা থাকে? থাকে এই দুনিয়ার সবরকমের স্তন্যপায়ী প্রাণী - বিশাল বপু হাতি থেকে শুরু করে তোমার বুড়ো আঙুলের থেকেও ছোটো ইঁদুর, সবাই শান্তিপূর্ণভাবে জুটোপিয়াতে বসবাস করে।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: রম্যরচনা
ভাগ্যিস ফেসবুক ছিল - নইলে কি আর নিবেদিতা লেখার জন্য এমন বিষয় ভাবতো ! তবে কিনা ফেসবুক থাকার ফলে কী কী হয়েছে আর কী কী হয়নি, সেটার তালিকা তো বেজায় দীর্ঘ, আর সেসব কথা লিখলে কিনা একটা আস্ত অভিধান মাফিক বই হয়ে যাবে, তাই জায়গার, ধৈর্য্যের এবং সময়ের অভাবে, সব কিছু না লিখে মোটে দুটো বিষয় নিয়ে লিখব।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: পাঁচমিশালি
(এই গদ্যটি আমার লেখার কথা নয়, দরকার ও ছিল না। একজন কিঞ্চিৎ দাবী জানালো বলে, ভাবলাম লিখি। এই গদ্যের শিরোনাম হতে পারে 'একটা শাড়ির গল্প', কিংবা 'কয়েকটা রঙের গল্প'; কিংবা 'কয়েকটা ছেঁড়া ছেঁড়া ভাবনা'। নাহলেও ক্ষতি নেই। সব কিছুই যে নিয়ম মেনে হতে নেই, সে আর কে না জানে?)
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: পাঁচমিশালি
কলকেতা শহরে বর্ষা নাকি এসে গেছে, কিংবা আসছে, কিংবা এল বলে ! আবহাওয়া অফিস নাকি তেমনই বলেছিল । এমনিতে অবশ্য বোঝার উপায় নাই, জ্যৈষ্ঠের এই শেষ কয়দিন এক্কেরে ঠেসে ধরে নিঃশ্বাস বের করে নেওয়ার উপক্রম হয়েছে। সেই হারিয়ে যাওয়া ছোটবেলায়, বর্ষা এসে গেছে ব্যাপারটা বেশ বুঝতে পারতাম, যখন একদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখতাম সারা আকাশ কীরকম হালকা ছাই ছাই রঙের জলে ভরা ভরা মেঘে ছেয়ে গেছে; বাতাসে সোঁদা গন্ধ; ভেজা ভেজা ভাব চারদিকে; গাছপালার পাতাগুলোর ওপর থেকে লাল ধুলোর পরত ধুয়ে গিয়ে কেমন চকচকে নানা মাত্রার সবুজ দেখা যাচ্ছে। আজকের ধোঁয়া- ধুলোয় ভরা কলকাতায় সেরকম দৃশ্য যদি কোনোওবছরে হঠাৎ করে একদিন দেখতে পাই, তাহলে ধরে নিই ওটা ভুল করে হয়ে গেছে ! কলকাতার বর্ষা নিয়ে আমার কোনোও রোমান্টিসজম নেই।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: গল্প
গরম কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে ঘরের স্বচ্ছ কাঁচের জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিল জোজো। বাইরেটা পুরোটাই সাদা বরফে ঢেকে আছে। আকাশ ও কেমন ঘোলাটে সাদা। বাইরের তাপমাত্রা মাইনাস দশ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরছে। ভেতরে অবশ্য সেটা বোঝার উপায় নেই।এইরকম একরঙা, শীতল প্রকৃতি দেখলে জোজোর দেশের কথা মনে পড়ে। বাংলার শীতকাল এমন বেরং হয়না, বরং ঠিক উল্টোটা। প্রায় বছর দুয়েক হয়ে গেল দেশে যাওয়া হয়নি। ভেবে রেখেছে গবেষণার কাজ পুরো গুটিয়ে তবেই একটা লম্বা ছুটি নিয়ে দেশে ফিরবে। ফিরেও অবশ্য বিশেষ কিছু করার থাকে না। জোজো একটু ঘরকুনো প্রকৃতির। নিজের পড়াশোনা নিয়েই থাকতে ভালোবাসে। সেই অর্থে কোনো গার্লফ্রেন্ডও নেই।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: পাঁচমিশালি
বহুদিন পর ঝড় বৃষ্টির কারণে, বেশ দেরী করে, মওকাবাজ অটোচালককে স্বাভাবিকের দ্বিগুনের বেশি ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফিরলাম। পাড়ার সব দোকানপাটই তখন প্রায় বন্ধ। একটি সদ্য প্রতিষ্ঠিত ঝাঁচকচককে দোকানে ঝলমলে আলোর নিচে দুই বিশাল লাল কাপড় ঢাকা হাঁড়ি, আর হাঁড়িদুটির পেছনে অনুরূপ মুখে দুটি মানুষ...অবশ্যই অনন্তের অপেক্ষায় বসে! বাঙালির ন্যাশনাল ফুডের গন্ধের সাথে মিলে মিশে গেছে সোঁদা বাতাসের সুবাস। পাড়ার সব্জিবিক্রেতা ছেলেটির ভ্যানের ওপর সদ্যস্নাত কলমী, নটে, পুঁই, পাট এলিয়ে পড়ে হ্যালোজেনের চড়া আলোয় চকচকে শরীর শুকোচ্ছে।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
কাঁকড় মাটি, ধুলোটে পথ আমার দেশ;
নিঝুম দুপুর, সজীব বিকেল আমার দেশ;
ঘড়ির কাঁটায় বাঁধা জীবন আমার দেশ;
শিল্পশহর তকমা আঁটা আমার দেশ।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: পাঁচমিশালি
হেঁটমুন্ড বাদুরের মত মিলের রংচঙে ফুল-ছাপ-তোলা প্রত্যঙ্গবিহীন নিস্পৃহ রাতপোষাকগুলি হাওয়ায় দোলে;
প্রাচীন এবং দুর্মূল্য আইভরির মত হলদেটে অন্তর্বাস, ফ্যাকাসে গামছার আড়ালে নিভৃতি খোঁজে;
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
আজ মোড়ে ঠাকুর ভাসানের জন্য বেজায় ভীড়। তার মধ্যেই কারা যেন খিচুড়ি প্রসাদ বিলি করছে, কেউ কেউ খুব মন দিয়ে তাই খাচ্ছে। তার থেকেও বেশি মন দিয়ে আইসক্রীম, ফুচকা, চাউমিন, মোমো ইত্যাদি খেয়ে চলেছে আরোও লোকজন। নানা মাপের ম্যাটাডোরে নানা মাপের কালীমাতা ঠাকুরানি সিঁদুর লেপিত সন্তান-সন্ততি সহ আবির্ভূত হচ্ছেন। দুম দাম চকোলেট বোমা ফাটছে। মধ্যেখানে হঠাৎ ট্যাং ট্যাং করে ঘন্টা বাজিয়ে দৌড় দিল একখানা দমকলগাড়ি- কোথায় আবার আগুন লাগল কে জানে ! দমকল স্টেশনের উল্টোদিকে পাড়ার সব থেকে বড় মা এখনও ডায়াস ছেড়ে নামার চেষ্টাই করেন নি, শেষ রাতে নামবেন মনে হয়। তাঁর সামনে দলবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে তাঁর সুসজ্জিত সন্তান-সন্ততিরা তাঁকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে গ্রুপি তুলছেন। সব মিলিয়ে মেলাই মেলা আর কী !