বাংলা পোস্টসমূহ
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
সহৃদয়তা সত্যিই কী সেটা জানার আগে
তোমাকে কিছু হারাতে হবে,
অনুভব করতে হবে ভবিষ্যতের বিলীন হয়ে যাওয়া
ঠিক যেমন নুন মিশে যায় পাতলা ঝোলে।
হাতে ধরা ছিল যা কিছু
যেটুকু তুমি গুণেগেঁথে জমিয়েছিলে,
সেইসব হারাতে হবে যাতে তুমি বোঝো
সহৃদয়তার এলাকাগুলির মাঝে
কতটা নিঃসঙ্গ হতে পারে পথ প্রান্তর ।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: বাসী খিচুড়ি
তখন আমি ক্লাস টু। বোধ হয় সদ্য ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়ে নতুন ক্লাসে ওঠার অপেক্ষায় বা উঠেছি, পড়াশোনার তেমন চাপ নেই। আমাদের ব্লকের পেছনের ব্লকের একতলাতেই একটা কোয়ার্টারে 'ছন্দম' এর ক্লাস হয় - নাচ এবং গানের। সেই স্কুলের প্রধান বিমলকাকুই সম্ভবতঃ উদ্যোগটা নিয়েছিলেন --- পাড়াতে হবে বসন্তোৎসব।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
ফেলে আসা শীতে, একটা ছোট্ট টবে, একমুঠো সর্ষে ছড়িয়েছিলাম। জানুয়ারির শেষে, যখন স্থান সংকুলান না হওয়ায় গাছগুলি ছোটখাটো চেহারা নিয়েই বুড়ো হয়ে যেতে লাগল, তখন তাদের পাতা তুলে শাক করে খেলাম আর গুটিকয় ফুল সাজিয়ে রাখলাম ছোট্ট এক চীনেমাটির কাপে। সে ছিল জানুয়ারি মাসের শেষ। গত এক মাস ধরে, সেই জলের মধ্যে থেকেই, সেইসব সূক্ষ্ম কিন্তু সবল ডালগুলি শিকড় বের করেছে, ফুলগুলিকে ফলে পরিণত করেছে, সেই নখের থেকেও সরু ফল পরিপুষ্ট হয়ে উঠেছে,
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
রাশিয়া কেন ইউক্রেনকে আক্রমণ করল, সেই নিয়ে দিন দুয়েক আগে ইউটিউবে নানা খবর দেখছিলাম। এক জায়গাতে শুনলাম বলছে 'Euromaidan' ...'maidan' শুনে কৌতূহল হল। একটু নেট ঘাঁটলাম। জানলাম ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এর মাঝে রয়েছে এক বড় স্কোয়্যার। তার নাম Maidan Nezalezhnosti আক্ষরিক অর্থে "Independence Square"। এই জায়গাটা স্থানীয় মানুষদের কাছে maidan নামেই পরিচিত ।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: প্রবন্ধ
সাধারণ ভাবে আমাদের জনমানসে এমনই এক ধারণা প্রচলিত আছে যে 'রামায়ণ' - সেটা যে ভাষাতেই এবং যে সময়েই প্রকাশিত হয়ে থাকুক না কেন, সেটি হল বাল্মিকী রচিত রামায়ণের সরাসরি অনুবাদ। রামায়ণের কাহিনির কোনো দ্বিতীয় দৃষ্টিকোণ থাকা সম্ভব নয়। অধ্যাপক রামানুজন এই প্রবন্ধে বাল্মিকী রচিত সংস্কৃত রামায়ণ, কম্বন রচিত তামিল রামায়ণ এবং থাই ভাষায় রচিত একটি রামায়ণের তুলনামূলক আলোচনা করেন এবং দেখান কীভাবে স্থান-কাল-পাত্র ভেদে, 'রামায়ণ'-এর একাধিক রূপ দেখতে পাওয়া যায়।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
গত মঙ্গলবার প্রথমবার কেওড়াতলা গেলাম। এই নিয়ে চারবার যাওয়া হল --- প্রতিবারই বিভিন্ন শ্বশান --- গড়িয়া, বৈদ্যবাটি, রাজপুর, কেওড়াতলা। বিভিন্ন চেহারা, বিভিন্ন অবস্থান, বিভিন্ন চরিত্রের হলেও, পরিষেবা এক। মাঝরাতের কথা অবশ্য জানিনা, কিন্তু ছোটবেলায় এবং বড়বেলায় পড়া কিছু 'ভয়াবহ' গল্পে যেসব গা ছমছম করা শ্বশানের বিবরণ থাকত--- মহানগরের মধ্যে, ঘোর বড়রাস্তার পাশে অবস্থিত এই সমস্ত শ্মশানে দিনে দুপুরে তো দূর, ভর সন্ধ্যাবেলাতেও অন্তত তেমন কিছুই মনে হওয়ার উপায় নেই ।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: বাসী খিচুড়ি
সেই সব সিপিয়া দিনকালে, চৈত্র-বৈশাখে নিয়ম মেনে কয়েকদিন পরে পরেই অবিকল মোহিতলাল মজুমদারের বিখ্যাত কবিতাটার বিবরণ অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়েই কালবৈশাখী হত। তাই এই বৈশাখী বিয়েতেও যে বৃষ্টি হবেই, এটাও ধরে নেওয়া হয়েছিল। বাগানের মাটি ঘাস ছেঁটে , সমান করে বিয়ের জায়গা তৈরি হবে এটা তো স্থির। কিন্তু যতই ভালো করে প্যান্ডেল বানানো হোক, এপাশ-ওপাশ থেকে জল গড়িয়ে এসে মাটি তো ভিজবেই। মুছে যাবে বিয়ের আসরের আল্পনা। তাহলে উপায়?
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: বাসী খিচুড়ি
আমাদের সেই চন্দননগরের শেঠ লেনের বাড়ির একতলা থেকে দোতলায় যাওয়ার সিঁড়িগুলো ছিল আজকের দিনের যেকোনো বাড়ির তুওনায় বেশ লম্বা চওড়া। আর একেবারে গোটা কুড়ি ( একটু কম বেশি হতে পারে) সিঁড়ি উঠে সোজা দোতলায় পৌঁছে যাওয়া যেত,মাঝপথে কোনো দেড়তলায় খানিক জিরিয়ে সেই সিঁড়ি ঘুরে দোতলায় উঠত না। লক্ষ্মী পুজোর দিনে সেই সিঁড়িগুলিতে মা লক্ষ্মীর পায়ের ছবি আঁকার দায়িত্ব পড়ত আমার আর মণিপিসির ওপর। জ্ঞান হয়ে থেকে মোটামুটি ক্লাস ফাইভ অবধি এই কাজ করেছি, তাই বলাই বাহুল্য, আসলে বেশিরভাগ কাজটা করত আমার থেকে বছর পাঁচেকের বড় মণিপিসি, আমি সঙ্গে হাত মেলাতাম।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: বাসী খিচুড়ি
আমাদের ছোটদাদুর, মানে বাবার ছোটকাকার একটা জুতোর দোকান ছিল। চন্দননগর বাবুরবাজার মোড়ের একেবারে ওপরে- 'তারা মা শু স্টোর্স'। দাদু দিনে অফিস করতেন, আর সন্ধ্যাবেলায় খুলতেন জুতোর দোকান। আর ছুটির দিনে দুইবেলাই খুলত সেই দোকান। এটা অবশ্য আমি আন্দাজে লিখলাম, কারণ আমরা তো ছুটিতেই বেড়াতে যেতাম, তখন তো দুইবেলাই দোকান খোলা থাকতে দেখেছি। আর দোকানে কোনো কর্মচারী ছিল না বলেই আমার মনে পড়ে, তাই কাজের দিনে বোধহয় সকালে দোকান বন্ধই থাকত । সেই দোকানের ক্যালেন্ডারে অবধারিত ভাবেই তারা মায়ের ছবি থাকত। 'তারা মা শু স্টোর্স'-এর ঠিক পেছনেই হত বাবুরবাজারের ঠাকুরপুজোর বিরাট মন্ডপ। তাই পুজোর ক'দিন, ওদিকে গেলে একবার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আসা, ভেতরে বসে দু-দন্ড জিরিয়ে নেওয়ার অভ্যাস ছিল আমাদের। আর পুজোর সময়ের নতুন জুতো আমরা পেতাম ছোটদাদুর থেকে। এই অভ্যাসটা মোটামুটি ক্লাস ফাইভ অবধি অব্যাহত ছিল।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: বাসী খিচুড়ি
দুপুর আড়াইটা কি তিনটে বা হয়ত সাড়ে তিনটে... মানকুন্ডু স্টেশনে থেকে খানিক সুরকি ফেলা, খানিক ইঁট পাতা, খানিক পাথর কুচি বেরোনো রাস্তা ধরে, নিঝুম পাড়ার মধ্যে দিয়ে চলেছে একটা রিকশা। ক্যাঁচ কোঁচ, ক্যাঁচ কোঁচ। রাস্তার দুইপাশে একতলা দোতলা গৃহস্থের বাড়ি। বেশিরভাগ বাড়ি ঘিরে সবুজ বেড়া ঘেরা বাগান, বাগানের বড় বড় গাছপালায় ছায়া ছায়া হয়ে আছে পথ। দুপুরের রোদ সরাসরি গায়ে লাগছে না। রিকশায় আসনে বসে বাবা আর মা। বাবার কোলে আমি,মায়ের কোলে ভাই। সঙ্গে একটা সবুজ কম্বল জড়ানো ধাতব ওয়াটার বটল, একটা লাল চামড়ার কীট ব্যাগ, আরও একটা সুটকেস বা অন্য ব্যাগ। এপথ সেপথ ঘুরে মিনিট দশ-পনেরো পরে সে রিকশা এসে থামল একটা বাড়ির সামনে।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: বাসী খিচুড়ি
আজ বিশ্বকর্মা পুজো। কিন্তু কেমন বোকার মত ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছে। এমন হলে মানুষ ঘুড়ি ওড়াবে কেমন করে?
ওয়ান্স আপন আ টাইম, লং লং এগো, এক বিশ্বকর্মা পুজোর সকালে আমাদের ছোট পিসেমশাইয়ের সঙ্গে আমরা হিন্দুস্থান কেব্ল্স্ কারখানার বিশ্বকর্মা পুজো দেখতে গেছিলাম। বাবা, মা, বড় পিসেমশাই-এর এক্তিয়ারে স্কুল। সেখানে সরস্বতী পুজোর দিন আমাদের অবাধ গতি। কারখানা শুধুই ছোট পিসেমশাই-এর এক্তিয়ার। তবে কারখানা ভ্রমণ জীবনে ওই একবারই হয়েছিল।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: বাসী খিচুড়ি
কলকাতায় কলেজে পড়ি। ছুটি পড়লে তুফান মেল চেপে বাড়ি যাই, আর ফেরার দিনের নির্দিষ্ট ট্রেন হল কোলফিল্ড এক্সপ্রেস, যাকে ধরতে হয় বাড়ি থেকে অন্ততঃ পঁয়তাল্লিশ মিনিট - প্রথমে হাঁটা, তারপরে বাস, তারপরে রিকশা চেপে সীতারামপুর জংশনে পৌঁছে। সকাল ছ'টা পঞ্চাশের গাড়ি ধরতে ভোর পাঁচটার ও আগে বাড়ি থেকে বেরোও! হাতে সময় নিয়ে, কারণ 'কোলফিল্ড' ধরানোর বাস যদি চলে যায়, তাহলে অগতির গতি পরের মিনিবাসের ভরসায় থাকতে হবে। কিংবা নিয়ামতপুরে বাস থেকে নেমেই তুমি স্টেশন যাওয়ার রিকশা তাড়াতাড়ি নাও পেতে পারো।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
আমাদের সেই একেবারে ছোট্টবেলায়, এক একটা গ্রীষ্মকালীন রবিবার আলাদা হত। সকালবেলার পড়াশোনা আর রেডিওতে 'শিশুমহল' শোনা হয়ে গেলে, ছুটি ছুটি মেজাজ হত। বাবা বাজার থেকে ফিরে আসতেন বিজলীগ্রীলের চারটে ছোট মাপের বোতল নিয়ে। সেটা বোধ হয় ছিল সোডা ওয়াটার। আমাদের বাড়িতে অন্য যাবতীয় রঙিন, এরিয়েটেড পানীয় নিষিদ্ধ ছিল। এইটা সাদা এবং বাঙালি বলেই বোধ হয় কালেভদ্রে, মানে গ্রীষ্মকালে মাসে হয়ত একবার ঢুকত। বাইরে ততক্ষণে দিনের তাপমাত্রা বেড়ে শোঁ শোঁ লু বইতে শুরু করেছে। আমাদের দেশলাইবাক্সের মত ছোট্ট কোয়ার্টারের গুটিকয় জানলা বন্ধ করে দেওয়া হত গরম এড়াতে।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
বৃষ্টি পড়ে ঝম-ঝমা-ঝম,
নদে এল বান-
বানের সঙ্গে অন্ত্যমিলে
লিখতে পারি 'ত্রাণ'।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: বাসী খিচুড়ি
ডিজিটাল ক্যামেরার আনন্দ বা দুঃখ, যাই বলা হোক, সেটা এই যে, মোটামুটি সোজা আর স্থির করে ধরে রাখতে পারলে, আর আলো ভালো থাকলে, বেশিরভাগ ছবিই দিব্যি উৎরে যায়। তার জন্য আলাদা করে আর ধৈর্য্য ধরে সঠিক মূহুর্তের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। সঙ্গে ফিল্ম খরচের চাপ নেই, খচাখচ তোলো, পছন্দ না হলে ফটাফট ডিলিট, তারপরে ডিজিটাল মেমরিতে রেখে ভুলে যাও। তাই আমিও দিব্যি বড়সড় এক ক্যামেরা বাগিয়ে বেনারসের ঘাটে ঘাটে এদিক ওদিক খচাখচ শাটার টিপতে লাগলাম।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: রম্যরচনা
শব্দদুটির সংজ্ঞা লেখো এবং দুটিকে ব্যবহার করে বাক্য রচনা করো।
১) অভিমান, ২) অপমান
উত্তরঃ
১) অভিমানঃ এক্স মাইনাস ক্যাটেগরির ব্যক্তিগত অনুভূতি। যেটা পাব ভেবেছিলাম সেটা না পেয়ে যেটা হয় ; সেই হওয়াটা যে ভুল, সেটা জনসমক্ষে স্বীকার করাটা বাধ্যতামূলক, নইলে অভিমানের কোনো মূল্য নাই।
২) অপমানঃ জেড প্লাস ক্যাটেগরির ব্যক্তিগত অনুভূতি, যা দিনে কতবার কেন , কখন, কোথায় , কী জন্য হবে বলা খুব মুশকিল। এই অনুভূতি নিয়মিত জনসমক্ষে প্রচার করা জরুরী,নইলে অপমানবোধের কোনো মূল্য নাই।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: বাসী খিচুড়ি
অগাস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহে , প্রখর রোদে ওইরকম ভয়ানক হাঁটাহাঁটি করে গায়ের চামড়া লাল হয়ে গেছিল আর হাত-পায়ের জোড় সব খুলে গেছিল। মাঝে লেকের জলে ওই বাঁশের ভেলা চেপে যাওয়া আর ফেরার সময়েই বেশি আনন্দ পেয়েছিলাম। ভেলার ওপর বাঁশের সীটে পাশ ফিরে বসে জলে পা ডুবিয়ে দিয়েছিলাম, সর সর করে জল সরে যাচ্ছিল, অদ্ভূত আরাম লাগছিল।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
হিন্দুস্থান কেব্ল্স্ হাই স্কুলের কাজ থেকে বাবা অবসর নেন ২০০০ সাল নাগাদ। বাবা কিছুদিন পরে ঠিক করলেন কম্পিউটার শিখবেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমনস্ক মানুষ হিসাবে এই যন্ত্রটি সম্পর্কে বাবার স্বাভাবিকভাবেই ঔৎসুক্য ছিল। তাঁদের কর্মজীবনকালে নানাবিধ কারণে এই রাজ্যে কম্পিউটার আসতে আসতেও আসেনি, সেটা নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে দুঃখিত ছিলেন।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: পাঁচমিশালি
( শ্রীমতী নবনীতা দেবসেনের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ ঘটেছিল হঠাৎ -ই, কাজের সূত্রে। মাত্র তিন বছর আমি নবনীতাদিকে অল্প কাছ থেকে জানার সময় বা সুযোগ পেয়েছি। এই লেখাটি ভালো-বাসা বাড়ির নবনীতাদিকে নিয়ে আমার স্মৃতিভান্ডারের খানিক অংশ, বিদুষী নবনীতা দেবসেনের কর্মকান্ডের আলোচনা বা সাহিত্যকর্মের মূল্যায়ন নয়। আজ ৭ নভেম্বর।)
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: পাঁচমিশালি
চন্দননগরের কৃষ্ণপট্টী শেঠ লেনে আমাদের বাড়ির উল্টোদিকে ছিল সন্টুদাদা-মন্টুদাদাদের বাড়ি। সে বাড়িটা আমাদের একটেরে ,লম্বাটে, বাড়ির থেকে একেবারেই আলাদা দেখতে।দোতলা বাড়ি, সামনে পেছনে বাগান,বাগানে ঢোকার বড় গেট, বাগানের লোহার রেলিং এর বাইরে বাঁধানো লম্বা বসার রোয়াক। সেই রোয়াকে বিকেলবেলা সাদা ধুতি -পাঞ্জাবি পরে গিয়ে বসতেন আমার দাদু। সঙ্গে বসতেন ওই বাড়ির কর্তা - তাঁকেও আমরা দাদুই বলতাম। তখন নাম জানতাম না, আমার কাছে উনি সন্টু-মন্টু দাদাদের দাদু
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
যে কারণে এই পোস্ট-এর অবতারনা, সেই কথাতে শুরুতেই আসি। সঙ্গের ছবিটি এই মাসে ইচ্ছামতীর সম্পাদকীয়-এর সঙ্গে প্রকাশিত হল। গত ২১ তারিখ রাতের দিকে এই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার পর পরই, দুইজন বন্ধু অনুমতি চান, ছবিটি নিজেদের প্রোফাইল কভার বানানোর জন্য। আমাদের ভাবনার সঙ্গে আরও কিছু বন্ধুর ভাবনা মিলে গেছে --- এইটাই আমাদের পরম প্রাপ্তি। এই অভূতপূর্ব সময়ের একটুকরো দলিল হয়ে থাক ইচ্ছামতীতে প্রকাশিত এই ছবি, সঙ্গে দুচারটে কথা --- এইটুকুই আমাদের ক্ষমতা। আর এমন অভিজ্ঞতা যখন হল, তখন ছবিটি নিয়ে, এবং ছবির শিল্পীকে নিয়ে অল্প লিখতে ইচ্ছে হল।