বাংলা পোস্টসমূহ
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
বেশ কয়েক বছর আগে, বিরিয়ানি রান্না করার জন্য ভালো মশলার খোঁজ করতে করতে গিয়ে ঢুকেছিলাম হগ মার্কেটে - সেখানে নাকি পাকিস্থান থেকে আমদানি করা খুব ভালো সব মুঘলাই রান্নার মশলা পাওয়া যায়। জন্মে থেকেই রাষ্ট্রযন্ত্র এবং জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমার দৌলতে জেনে আসছি পাকিস্থান আমাদের পরম শত্রু, এবং যে ধর্মাবলম্বীরা পাকিস্থানের সংখ্যাগুরু, আর এদেশে থেকেও (না কি) সর্বদা পাকিস্থানকে সর্ব বিষয়ে সমর্থন করে, তারা সব্বাই বেজায় খারাপ লোকজন ( কারণ তারা এটা-ওটা খায় যেটা নাকি খাওয়া উচিত না, এরকম -ওরকম পোষাক পরে যেগুলো পরা উচিত না, এটা ওটা করে যেগুলো করা উচিত না, আর তারা নাকি সব্বাই সবসময়ে কাশ্মীরকে ভারতের থেকে কেড়ে নেবে বলে কুমতলব আঁটছে ) । তাই বলে আমিশাষী ভারতীয়রা বিরিয়ানি-কাবাব-পরোটা-রেজালা ইত্যাদি খাবেনা পণ করেছে, এমন কথা কোনোদিন শুনিনি, এমন কথা তো কোনোদিনও মাথায় আসেনি, কেউ একুশে আইনও জারি করেনি, তাই তখন পাকিস্থানি মশলা খুঁজতে যাওয়াটাও দেশদ্রোহীতার পর্যায়ে পড়তে পারে- এমন আজগুবি চিন্তা দুঃস্বপ্নেও আসেনি- কিন্তু আজকের পরিপ্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে এমন হুজুগ কোনো দেশপ্রেমী তুললে অবাক হব না।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
শিক্ষক দিবসের সারাদিন ফেসবুকজুড়ে পোস্টগুলো প্রতিবছর পড়তে পড়তে বড়ই হীনমন্যতায় ভুগি। সব্বাই নিজেদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্পর্কে কত ভালো ভালো কথা লেখে। পড়ে মনে হয় এদের জীবনে কী সুখ...।এদের স্কুলে একজনও পচা দিদিমণি বা স্যার ছিলেন না। কেউ একটা খারাপ কথা লেখে না। সব্বাই লেখে তারা কতজন, কতরকমের শিক্ষকের কাছ থেকে কত কী পেয়েছে। অথচ আমি এক পাজি, আমার স্কুল -কলেজ বললেই আগেই সেই মুখ গুলো মনে পড়ে,যাদের নিয়ে কিছু না কিছু একটা গপ্পো আছে, এবং সেই গপ্পোগুলি কোনোটাই খুব উৎসাহব্যঞ্জক নয়। আমাকে জীবনকে প্রবলভাবে প্রভাবিত করে একেবারে খোলনলচে পাল্টে দিয়েছেন, এমন শিক্ষকের নাম বা মুখও সহজে মনে পড়ে না, সেটাও আমারই কৃতঘ্নতা নির্ঘাত।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
গত মঙ্গলবার 'জগগা জাসুস' দেখতে গেছিলাম। ফিল্মটা দেখে কেমন লাগল, শুধুমাত্র সেই নিয়ে বিশ্লেষণী মতামতের জন্য এই লেখা নয়। তার সাথে লেখাটা আরো অন্যান্য অনেক কিছু নিয়ে। হঠাৎ সিদ্ধান্তে কিংবা প্রচুর ভাবনা চিন্তা করে, যেভাবেই হোক না কেন, ফিল্ম দেখতে যাওয়া মানে তো আর শুধু ফিল্মটা নয়, তার আগে পিছে ডাইনে বাঁয়ে সবকিছুই আমার কাছে সমানভাবে আকর্ষণীয়। বাজারে গেলে সব্জীর থেকে সব্জীওয়ালি মাসির সংসারের গপ্পে বেশি মন দিই, রেস্তোঁরায় খেতে গেলে নিজের পাতের চেয়ে অন্য টেবিলগুলির ছোট ছোট যে সব গল্পগুলি তৈরি হচ্ছে তাতে বেশি মন থাকে। সুধী পাঠক, এই অতিদীর্ঘ পোস্ট পড়া শুরু করার আগে তাই বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দেওয়া রইল। শেষে গিয়ে রেগে গেলে আমি দায়ী নই।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
ছোট্টবেলায় ইচ্ছে ছিল হব ভাগ্নে মদন,
মামার সাথে সকাল সকাল হাঁকিয়ে গোরুর গাড়ি ,
গ্রাম-গঞ্জের হাটে হাটে ধুলো মাখা গায়ে ,
বেচব গিয়ে বোঝাই করা মাটির কলসি হাঁড়ি।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: রম্যরচনা
অবশেষে তাঁরা এসেছেন। আমাদের বাড়িতে থাকতে এসেছে্ন।কিন্তু যেখানে থাকবেন ভেবেছিলাম, সেখানে থাকছেন না। নিজেদের মত জায়গা খুঁজে নিয়েছেন। এক চড়াই-দম্পতি, সাথে নিশ্চয় গোটা তিন-চারেক কুচো-কাচা। চোখে দেখতে পাচ্ছি না, সকালবেলার গলাবাজি শুনে আন্দাজ করতে হচ্ছে।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
শীতল বিকেল, হিমেল হাওয়া শিরশিরে
খুঁজছে কী বা অলিতে-গলিতে ঘুরে ফিরে ?
সুয্যি ডোবে ঝুপুস করে বড্ড তাড়া,
আঁধার ঘনায় শাল মুড়ি দেয় আমার পাড়া।
খুঁজে বেড়ায় ভালবাসার একটু তাপ-
চতুর্দিকে বড্ড বেশি মন খারাপ।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: অণুগল্প
একদা চীনদেশে দুই বুড়ো-বুড়ি ছিল;
নাম 'শুনছো' ও 'শুনলে'।
এই জন্মে তারা আদর্শ বাঙালি প্রৌঢ় দম্পতি।
আমার মা-বাবা।
(এই অণুগল্পটা বহুদিন ধরে লেখার ইচ্ছে ছিল। সুযোগ পেয়ে লিখে ফেললাম )
https://www.facebook.com/mahasweta.ray/posts/10154778477667494
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: সিনেমা দেখার পরে
শিমূলগড় গ্রামের রহস্যময় কান্ডকারখানা গুলো কেন ঘটছে? গগন সাঁপুইয়ের বাড়িতে যে ধরা পড়ল সে কি সত্যি চোর? জঙ্গলের মধ্যে কাকে খুঁজে পেল অলঙ্কার?
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: রম্যরচনা
'গান ধরেছেন গ্রীষ্মকালে ভীষ্মলোচন শর্মা
আওয়াজ খানা দিচ্ছে হানা দিল্লি থেকে বর্মা ...'গান গাওয়ার জিনিষ। গান করাও যায়। গান ধরাও যায়। গান বাঁধাও যায়। গান বানানোও যায়। এত এত ক্রিয়াপদের ব্যবহার দেখে বোঝাই যাচ্ছে গান খুবই বহুমুখী একটা ব্যাপার।'গানের ওপারে' নামে একটা সিরিয়াল তৈরি হয়েছিল। সেখানে গানের থেকে বেশি প্রেম আর ডিজাইনার বাড়িঘর-জামাকাপড় ছিল।গান-পাউডার খুব ঝাল, কিন্তু গরম ভাতে মেখে খেতে খুব ভাল লাগে।গান্ধারী সারাটাজীবন অকারণে চোখ বেঁধে রাখলেন।
তিনি গান্ধারের মেয়ে বলে নাম গান্ধারী, কিন্তু তাঁর ভাইদের নাম কেন শকুনি আর মৎকুনি এই নিয়ে কোন বিগ-গান সম্মেলনে গবেষণাপত্র লেখা উচিত।'গান্ধর্বী' বানী বসুর লেখা একটা উপন্যাসের নাম। আমার পড়ে খুব ভাল লেগেছিল।গান্ধর্ব মতে বিয়ে করলে বাজে খরচা অনেক কমানো যায়, ভুল ভাল লোককে ডেকে এনে মাংস পোলাও খাওয়াতেও হয়না, আর হাবিজাবি উপহারে ঘর বোঝাই ও হয় না।গান্ধী পদবীযুক্ত মানুষদের নিয়ে চতুর্দিকে সর্বদাই বড় বেশি আলোচনা হয়। এতে ওনাদের প্রাইভেসি নষ্ট হয়।গান্ধীপোকার গায়ে বেজায় গন্ধ। যারা গান্ধীপোকা দেখেনি, তারা বুঝবেনা সেটা কি ভয়ানক।Günter Grass এর নামের শুরু Gün দিয়ে হলেও, উচ্চারণ গুন্টার গ্রাস। কেন, সেটা জার্মানরা জানে।গানের আগে 'বা' লাগালে সুন্দর ফুল-ফল-গাছ-পালায় ভরা এক ছবি মাথায় আসে।গানের পরে কিছু একটা লাগালে সেই শব্দটা সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখা যায় না।শেষে একটা কথাই বলব ম্যাডাম/ স্যারঃযত খুশি গান ধরুন, GUN ধরিবেন না।- হ্যাপি গান দিবস।(গত বছরের লেখা )
https://www.facebook.com/mahaswetasmusings/photos/304052790132605
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: রম্যরচনা
পছন্দের ফলকে ঘিরে চেতনা প্রবাহে ঘুরতে থাকা টুকরো যত ছবি
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: পাঁচমিশালি
পুজোর স্মৃতি নিয়ে লিখতে বা কথা বলতে বসলে অবশ্যই ফিরে ফিরে আসবে নানা রং-গন্ধ-বর্ণ-স্বাদের স্মৃতি। ছুটিতে বেড়ানো, ফ্যাশন, সাজসজ্জা, আত্মীয়বন্ধুদের গপ্পোর সাথে সাথে অবশ্যই আসবে খাওয়া-দাওয়ার কথা, এ আর এমন কি? আমাদের প্রত্যেকেরই ফেলে আসা দিনের পুজোর স্মৃতির সাথে জড়িয়ে আছে এইরকম নানা ধরণের স্মৃতি। আমারও আছে; তার মধ্যে খাবার-দাবারের স্মৃতি বেশ ভালই জায়গা নিয়ে আছে, কারণ সেগুলির সাথে জড়িয়ে আছে আরো নানা টুকরো আনন্দ আর মন-কেমন করা স্মৃতি।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: পাঁচমিশালি
অবশেষে সেইদিন আসন্ন। আজ, শনিবার, ৩০শে এপ্রিল, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের শেষ দফায় ভোটের দিন। কাজের মেয়ে দুইদিনের ( আসলে চারদিনের )ছুটি নিয়েছে।
আবাসনের ঝাড়ুদার 'মেসো'-ও বলেছে দুইদিন আসবে না। আর কে কে আজ আগামি কাল আর পরশু আসবে না কে জানে ! বৃষ্টি যে আসবে না সেটাই মনে হয় একমাত্র নিশ্চিত আছে। বেশ একটা ছুটি ছুটি ভাব। মাংস এবং মদের দোকানে গত দিন কয়েক বেজায় বিক্রিবাটা। এদিক সেদিক লাল-নীল-কমলা-সবুজ-সাদা নানারঙের কাপড়ে মোড়া ছোট ছোট বুথ। রঙিন পতাকা।সকাল থেকে চারিদিক কি অসম্ভব নিস্তব্ধ। রাস্তায় গাড়ি ঘোড়া নেই। লোকজন ও অনেক কম। দোকান বাজার বন্ধ। এদিক সেদিক মাঝেমধ্যে হালকা করে টিভির আওয়াজ শুধু।
হাল্লা চলেছে যুদ্ধে।
কিন্তু আমার বড় সমস্যা। কেন, সেটাই সবিস্তারে বলা দরকার।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
সন্ধ্যেবেলা বাজার করে ফিরছিলাম। বাড়ির কাছাকাছি কয়েকটা খুদে ঘিরে ধরল।
"সস্সোতি পুজো করব, চাঁদা দাও না"
"আমাদের হাউজিং -এই তো পুজো হচ্ছে, সেখানে চাঁদা দিয়ে দিয়েছি, আর দেব না..." - কাটানোর চেষ্টা করে বললাম
"আমাদের দাও না, চাঁদা দাও না"
"কোথায় পুজো হবে তোদের?"
"এই তো পেছনের রাস্তায়...দাও না কাকিমা"
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: গল্প
১০ই আগস্ট, ২০০২
-হাই
-হ্যালো
-ইউজারনেম দেখে মনেই হচ্ছে তুমি মেয়ে,ঠিক তো?
-না, আমি মহিলার ছদ্মবেশে পুরুষ।
-হাহা, তোমার ইউজারনেম বেশ ইন্টারেস্টিং।
-থ্যানক ইউ!
-দ্যস্ট্রংসেকেন্ডপ্রিন্সেস
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: রম্যরচনা
হোম-অফিস হওয়ার মজা হল, রোজ রাস্তায় বেরতে হয়না। অফিস টাইমের ভীড়, ঘামের গন্ধ ভরা বাস, হঠাৎ থেমে যাওয়া মেট্রো রেল , অটোরিকশা বা ট্যাক্সি স্ট্রাইক, কিছু নিয়েই খুব একটা মাথা ঘামাতে হয়না। কিন্তু এর একটা কুফল ও আছে। মাঝেমধ্যে কাজের চক্করে বেরোতে হলে পুরো ঘেমে-নেয়ে-কেস-খেয়ে একশা কান্ড। তার মধ্যে যদি আবার বৃষ্টি পড়ে, ঝড় ওঠে বা মিটিং-মিছিল থাকে, তাহলে তো হয়েই গেল। আমি পুরো, ইংরেজিতে যাকে বলে, 'ক্লু-লেস' সেটাই হয়ে যাই। তখন আমাকে দেখে কে বলবে এই আমি লোকাল ট্রেনে ডেলি-পাষন্ডগিরিও করেছি।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: পাঁচমিশালি
আমার কাছে আজকাল আর চিঠি আসেনা। চিঠি মানে কাগজে লেখা চিঠি। যে চিঠি নিয়ে আসার কথা ডাকপিওনের। ডাকে আসে শুধু ইলেকট্রিক বিল, টেলিফোন বিল, ক্রেডিট কার্ড বিল, ফর্ম, অ্যাপ্লিকেশন এইসব। কালে-কস্মিনে এক দুটো বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রনের চিঠি। শুধু আমার কাছে কেন, কারোর কাছেই মনে হয় আসেনা। জীবন থেকে ক্রিম রঙা পোস্টকার্ড আর নীল রঙা ইনল্যান্ড কাগজ হারিয়ে গেছে। রঙিন ফুল ছাপ রাইটিং প্যাড আর লাল হৃদয়-চিহ্ন আঁকা রংচঙে খাম কিনিনি বহুদিন। আমিও কাউকে চিঠি লিখিনা। আমাকেও কেউ চিঠি লেখে না।