বাংলা পোস্টসমূহ
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: পাঁচমিশালি
গতকাল , ২৪শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যাবেলায় সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সুথল পথিকৃৎ সম্মান ২০১৫ এর অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ হয়েছিল। বোরোলিন, সুথল এবং আরো অন্যান্য নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী প্রস্তুতকারি সংস্থা জি ডি ফার্মাসিউটিক্যাল্স্ এর এই উদ্যোগের পিছনে উদ্দেশ্য- আমাদের এই আপাত বিপর্যস্ত সমাজের মধ্যে থেকেই যে সব মানুষ সবার চোখের আড়ালে, মানুষের সার্বিক উন্নতির পথে নিরলস কাজ করে চলেছেন, তাঁদের সম্মানিত করা, এবং পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসা-আরো একবার। গতকালের অনুষ্ঠানে সম্মানিত করা হল তিনজন এমনই মানুষকে
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: পাঁচমিশালি
গতকাল দুপুরে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে গেছিলাম , সেখানে গত মাসখানেক ধরে চলছিল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ছবির এক প্রদর্শনী। প্রদর্শনীটি এই সপ্তাহেই শেষ অবশ্য। ওবিন ঠাকুর, ছবি কেমন করে লিখতেন দেখার সুযোগ পেলাম। আমি শিল্প বিশেষজ্ঞ নই, তাঁর শিল্পকর্ম বিষয়ে খুব কিছু পড়াশোনাও নেই। যেটুকু বুঝলাম, নানা ধরণের মাধ্যমে, বিশেষতঃ, জল রঙে তাঁর অবাধ স্বাচ্ছন্দ্য ছিল, এবং নানা ধরণের ছবি আঁকার শৈলী তিনি বিভিন্ন সময়ে প্রয়োগ করেছিলেন।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: লিমেরিক
আকাশেতে মেঘেদের দেখা নাই বিলকুল,
কলকেতা শহরটা ঘামে দেখ কুল কুল,
ওগো যত বিবি বাবু
গরমেতে হলে কাবু --
নীল সাদা মেক ওভারে হবে নাকি tropi-cool?
https://www.facebook.com/mahasweta.ray/posts/10152598185297494?notif_t=like
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
একটা ছুটি চাই।
নীল পাহাড়ের কোলে
যদি পেতাম একটা ছোট
নাম -না-জানা-ঠাঁই,
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: লিমেরিক
পুজোর দিন কয়েক আগে ব্যাঙ্কে যেতে হয়েছিল। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। বসার চেয়ারও দেয় নি। অগত্যা, মাথা ঠাণ্ডা করার জন্য তাকে অন্য দিকে খাটাতেই হয়েছিল। তারই ফসল -পুজোর লিমেরিকঃ
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: রম্যরচনা
গত কয়েকদিন ধরে যখনি বৃষ্টি পড়ছে, মাঝে মাঝেই ভুলে যাওয়া স্বপ্নের মত হারিয়ে যাওয়া ছোটবেলার একটা ঘটনা বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে…প্রতি বর্ষাতেই পড়ে…আমার আর ভাইয়ের ঝুলন সাজানোর কথা। এবারো যখন মনে পড়ল, তখন ভাবলাম একেবারে ভুলে যাওয়ার আগে লিখে রাখি আমার সেই সব স্মৃতি। এইসব ভাবতে ভাবতেই, গতকাল ক্যালেন্ডারের পাতায় চোখ বোলাতে গিয়ে দেখেছিলাম আজ ঝুলনযাত্রা। ঝুলন পূর্ণিমার দিনে হয় বলে একটা ভুল ধারনা ছিল, দেখলাম আজ কিন্তু পূর্ণিমা নয়…ভুল ধারনা তো হওয়ার কথা নয়…স্পষ্ট মনে আছে ‘রাজকাহিনী’তে পড়া বাপ্পাদিত্যের সঙ্গে সেই রাজকন্যার ঝুলন উৎসবের কথা…সেট তো পূর্ণিমা রাত ই ছিল…টাইপ করা থামিয়ে উঠে গিয়ে ধুলো ঝেড়ে বার করলাম আমার সেই প্রিয় বই…আর হ্যাঁ, ঠিকই তো…অবনীন্দ্রনাথ তো সত্যি লিখেছেন পূর্ণিমার রাতে শোলাঙ্কি রাজকুমারির সাথে বাপ্পাদিত্যের ঝুলন খেলার গল্প ।…তাহলে ক্যালেন্ডার আজকের দিনটা পূর্ণিমা দেখাচ্ছে না কেন? …অতএব ভরসা গুগল!!দেখলাম অনলাইন পঞ্জিকা বলছে ৩১শে জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট হচ্ছে ঝুলনযাত্রা!
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
সকালবেলা ফুলঝাড়ু কেনার জন্য পাড়ার নিয়মিত ফেরিওয়ালাকে ডাক দিলাম। তিনি তাঁর বিভিন্ন রকমের ঝাড়ুর সমাহার নিয়ে এলেন। একটা ঝাড়ু কেনা হল। সাথে হল একটু কথাবার্তা। তিনি মগরাহাটে থাকেন। রাত তিনটেতে ঘুম থেকে উঠে, এক ঘন্টা পায়ে হেঁটে স্টেশনে এসে ট্রেন ধরে মহানগরে আসা। তারপর পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ফুলঝাড়ু, ঝুলঝাড়ূ বিক্রি। বেলা তিনটে -সাড়ে- তিনটে নাগাদ বাড়ি ফেরা। তারপরে ক্ষেতের কাজ।ওনার তিন সন্তান। বড় ছেলে বি.এ. থার্ড ইয়ারে পড়ে।পরের ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক দিল এবার। মেয়ে ছোট, পড়ে ক্লাস এইটে।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: হাইকু
এপ্রিল ২০১১ থেকে মার্চ ২০১২ অবধি প্রতি মাসে লেখা হাইকুর সমষ্টি ।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: পাঁচমিশালি
আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। দুপুরবেলা টিভিতে একটি সংবাদ চ্যানেলে এক সেলেব্রিটির বাড়িতে লক্ষ্মীপুজোর ব্যবস্থাপনা নিয়ে বাইট দিচ্ছিল। অভিনেত্রী লাল পেড়ে শাড়ি এবং প্রচুর সোনার গয়না পরে আলপনা দিচ্ছেন, এবং রাতে বাড়ির পুজোর ভোগের ফিরিস্তি দিচ্ছেন। দেখতে দেখতে ভাই বলল - আজকাল কি সবকিছু নিয়েই প্রবল হইচই হয়...এই দুর্গাপুজো গেল...আগে দুর্গাপুজোর পরে কিরকম মন খারাপ হয়ে থাকত কতদিন, আজকাল কি মন খারাপও করেনা কারোর...?
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
১
পড়ল ঢাকে জোড়া কাঠি
এসে গেল পুজোর ছুটি
বন্ধ হল ইশকুল -অফিস যাওয়া
এখন কদিন দেদার মজা
নতুন জামা সাজা-গোজা
ভাল মন্দ হরেক রকম খাওয়া।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: রম্যরচনা
দুগ্গা ঠাকুর ভালো
তার রূপে ভুবন আলো
লক্ষ্মী সরস্বতী
তারা সত্যি গুণবতী
দুগ্গা ঠাকুর ভালো
তার রূপে ভুবন আলো
লক্ষ্মী সরস্বতী
তারা সত্যি গুণবতী
ফুলবাবু কাত্তিক
যেন জামাইবাবু ঠিক
গনেশ দাদার ভুঁড়ি
হয় দিতে সুড়সুড়ি
বিদ্ঘুটে ওই অসুর
যেন আন্নাকালীর শ্বশুর।
না, এই ছড়া আমার লেখা নয়। এই ছড়া আমি শিখেছিলাম আমার বাবা-কাকাদের কাছে, যখন আমি তাঁদের কোলে কোলে ঘুরে দুগ্গা ঠাকুর দেখতে যেতাম। কার লেখা ছড়া , তাও জানিনা। কিন্তু ছোট্টবেলা থেকে শুনে শুনে মুখস্থ হয়ে গেছে।
একটু বড় হয়ে যখন শব্দগুলির মানে বুঝতে শিখলাম, তখন বুঝলাম এই ছড়ার বেশিরভাগ কথাগুলিই যথেষ্ট ন্যায্য। তবে যে দুটি পংক্তি সব থেকে বেশি মনের মধ্যে ঘুরত তা হল ' বিদ্ঘুটে ওই...শ্বশুর '; আন্নাকালী কে, আর অসুর কেনই বা তার শ্বশুরের মত দেখতে হতে যাবে, এই নিয়ে অনেক ভাবনা চিন্তা করেছি এক সময়ে।অনেক ভেবে ঠিক করেছিলাম, আন্নাকালী যেই হোক না কেন, অসুর কে তার শ্বশুর খেতাব দেওয়াটা আন্নাকালীর প্রতি সুবিচার হয়নি। অসুর বাপু অসুরই- সে আর কিছু হতে পারেনা।
কিন্তু প্রথম দুটি পংক্তি -
দুগ্গা ঠাকুর ভালো
তার রূপে ভুবন আলো-
এর মত সত্যি কথা বোধ হয় আর কিছু হয়না। পাঁচ থেকে পঁচাশি - সবাই এই কথায় ঘাড় কাত করবে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। এই যে বর্ষা যেতে যেতেও ফিরে আসছে, তার মাঝেই হটাত হটাত করে ঝকঝকে নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মত সাদা সাদা মেঘ, সোনালি রোদ ঝিলিক দিয়ে দিয়ে উঠছে, দিঘীর জলে পদ্মফুল, বাগানের কোণ আলো করে ছড়িয়ে থাকা শিউলিফুল- এ সব দেখে অতি বড় বেরসিক ও মন বদলাবেন আর দু -দন্ডের জন্য প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে উপভোগ করবেন।আর আমি যদি বলি বাপের বাড়ি আসার আগে, শেষ বৃষ্টি্র জলে নেয়ে ধুয়ে, মুখে তুলোট মেঘের পাফ বুলিয়ে একটু সেজে নিলেন উমা,খোঁপায় জড়ালেন শিউলির মালা, হাতে নিলেন পদ্মকলি, পরণে তাঁর আসমানি রঙ জামদানি শাড়ি, যার জরি ঝলক আর সোনার আভরণের ছটা মিশে আছে শরত সকালের ঐ মিষ্টি সোনালি রোদে- তাহলে কেমন হয়?
দিনে সোনালি সূর্যালোক, রাতে পথের পাশে ঝলমল করতে থাকা আলোর মালা, আলোর তোরণ, আলোয় সাজানো মন্ডপ। দশভূজা মায়ের রূপের ছটায় সত্যিই যেন দিকবিদিক আলোক ময়। সেই আলো যেন ধুয়ে দিচ্ছে সব গ্লানি, মুছে দিচ্ছে সব কালিমা; ছড়িয়ে যাচ্ছে আনাচে-কানাচে - ফুটপাথের কোনায়- সিঁড়ির বাঁকে-ওভারব্রীজের নিচে-মেট্রোস্টেশনের ম্যুরালে-হাটে-বাজারে। ছেলে-মেয়ে সাথে নিয়ে চার দিনের জন্য বাপের বাড়ি এসেছেন উমা- এই চারদিন চাই না কোন মন খারাপ- মুখভার-দ্বেষ-কলহ। আলোকিত হোক সবার মন, আলোকিত হোক নিত্যদিনের জীবন।
লক্ষ্মী, সরস্বতী, কাত্তিক, গণেশ, আন্নাকালী আর- হ্যাঁ- এমনকি অসুর ও - এই ক'টা দিনে সবাই যেন থাকে ভাল, কারণ- দুগ্গাঠাকুর যে ভাল !
আলো জ্বালাও আলো
দুগ্গা ঠাকুর এল।
মুছিয়ে দেবে যতেক কালো
দুগ্গা বড় ভালো।
শারদীয়া প্যাপিরাস ২০১১ তে প্রকাশিত।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: প্রবন্ধ
আমার ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে একটা টেপ-রেকর্ডার ছিল। বাবার শখ ছিল নানাধরনের গান শোনার। একদিন বাবা বাজার থেকে কয়েকটা ক্যাসেট নিয়ে এলেন। সেগুলি গানের নয়। সেগুলির ওপরে ছিল এক চেনা মুখের ছবি। বড় বড় চোখ, লম্বাটে গঠন, আর এক অদ্ভূত মজাদার নির্মল হাসি। তিনি আমাদের চেনা। বাড়িতে বাংলা এবং হিন্দি ছবি দেখার ব্যাপারে ঘোরতর নিষেধাজ্ঞা ছিল, কিন্তু তা সত্বেও তাঁকে আমরা চিনতাম, কারন তাঁর অভিনয় করা অনেক ছবিই আমাদের দেখতে দেওয়া হয়েছিল। ক্যাসেট চালানো হল। বাঙাল ভাষায় অভাবনীয় সেই উপস্থাপনা শুনতে শুনতে কিছুক্ষনের মধ্যেই আমাদের সবার হাসতে হাসতে দম ফেটে যাওয়ার উপক্রম। বলা যেতে পারে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেই আমার প্রথম সত্যিকারের পরিচয়, এবং বাঙাল ভাষার সঙ্গে প্রথম ভালবাসা।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: পাঁচমিশালি
প্রত্যেক বছর ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। সোমবার বা শুক্রবারে পড়লে কেউ কেউ উইক-এন্ডের সাথে জুড়ে নিয়ে ছোটখাট ট্রিপ মেরে আসেন। কেউ কেউ সকাল সকাল মাংস কিনে বাড়ি ফেরেন। কোন কোন স্কুলে পতাকা উত্তোলন হয়, প্যারেড হয়। কারোর কারোর ছুটি থাকে। আমাদের স্কুলের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন খুব ভাল করে মনে আছে, কিন্তু স্বাধীনতা দিবসে কি হত ভুলে গেছি। স্কুলে যেতে হত বোধ হয়। কেন এত তাড়াতাড়ি এই তথ্য ভুলে গেলাম কে জানে।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
আজ রাখী পূর্নিমা।
আজকের দিনে ভাইয়ের হাতে রেশমি সুতোর দড়ি বেঁধে বোন তার দীর্ঘজীবন কামনা করে। ভাই বোনের অটুট বিশ্বাস আর নির্ভরতার প্রতীক হয়ে থাকে ছোট্ট রাখী।
ভাইয়ের জন্য রাখী কিনতে গেছিলাম। আজকাল বাজারে এত ধরনের রাখী যে বেশ ধন্ধে পড়ে যেতে হয় - নানা রঙের সুতো - কোনটা সুতি, কোনটা রেশমি, কোনটা জরি; মাঝখানে ছোট বড় নানা আয়তনের নানারকমের মোটিফ - তুলসী কাঠের ছোট্ট ফুল থেকে শুরু করে টেরাকোটার গনেশ অবধি সবই আছে। যার যেরকম রুচি, যেরকম পছন্দ বা বাজেট , সেই অনুযায়ী কিনে নিলেই হল।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: রম্যরচনা
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্য সব অটোকে পেছনে ফেলে, দৈত্যের মত স্টেট বাস থেকে শুরু করে বেঁটেখাট মিনিবাস ( যারা একইরকম ভাবে তাড়াহুড়োয় থাকে) --- সবার বগলের তলা দিয়ে, পায়ের ফাঁকে গলে এগিয়ে যাওয়া। ভাবখানা অনেকটা 'আঠেরো বছর বয়স জানে না মানা' গোছের। কিছুতেই পরোয়া নেই, কাউকেই তোয়াক্কা নেই। জীবনে গতিই আসল। তাতে যদি পেছনের সিটে বসে থাকা রোগা পুরুষ ও মোটা মহিলাদের পেট গুলিয়ে ওঠে তো উঠুক; সামনের ডান দিকে বসা প্যাসেঞ্জারের হাঁটু, পাশ দিয়ে হুশ করে বেরিয়ে যাওয়া গাড়ির গুঁতোয় খুলে যদি যায় তো যাক!
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
বৃষ্টি পড়বে টাপুর টুপুর
নদে আসবে বান,
ভেবে রেখেছি বৃষ্টি জলে
করব ধারাস্নান-
বৃষ্টিধারায় ধুয়ে যাবে
কান্না অভিমান।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: সিনেমা দেখার পরে
গত সপ্তাহে প্রিয়া প্রেক্ষাগৃহে দেখতে গেছিলাম 'নৌকাডুবি'। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মসার্ধশতবর্ষে ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত এই ছবিটি সুভাষ ঘাই এর নিবেদন। প্রধাণ চরিত্রগুলিতে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়, যীশু সেনগুপ্ত, রাইমা সেন এবং রিয়া সেন।'নৌকাডুবি ' উপন্যাসটি আমি পড়েছিলাম আজ থেকে বছর কুড়ি আগে। তাই কাহিনীর সারাংশটুকু ছাড়া আর বিশেষ কিছুই মনে ছিল না। আর মনে ছিল কিছু টুকরো টুকরো অংশ। ছবিটা দেখে ইস্তক মনে হচ্ছিল কিছু কিছু জায়গা যেন মিলছে না। কৌতূহল ক্রমশঃ বেড়ে উঠছিল পরিচালক গল্পটিকে কিভাবে পরিগ্রহণ/ adapt করেছেন সেই বিষয়ে। তাই মনে হল, ছায়াছবি 'নৌকাডুবি' নিয়ে কিছু লেখার আগে উপন্যাস 'নৌকাডুবি' আর একবার পড়ে ফেলা উচিত । অতএব, কাজকর্ম ফেলে রেখে গতকাল রাত থেকে আজ সারা সকাল পড়ে ফেললাম অনলাইন রবীন্দ্র-রচনাবলী থেকে এই উপন্যাস।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: বাসী খিচুড়ি
হাওড়া -ব্যান্ডেল মেইন লাইনে মানকুন্ডুতে আমাদের একটা বাড়ি ছিল। আজ থেকে প্রায় বছর তিরিশেক আগে, সেখানে থাকতেন আমার ঠাকুরদা-ঠাকুমা ( আমাদের কাছে দাদু-দিদু), আমার দুই কাকা, তিন পিসি। আরো থাকতেন আমাদের ছোটদাদু-ছোটদিদু ( আমার বাবার কাকা-কাকিমা) আর তাঁদের ছেলে আর মেয়ে, আমাদের মণিকাকু আর মণিপিসি। থাকতেন আমার আরেক কাকা-কাকিমা, তাঁদের দুই ছেলে নিয়ে। মোট কথা, প্রচুর লোক । কয়েক বছরের ব্যাবধানে পিসি-কাকুদের বিয়েও হয়ে গেল, ফলে বাড়িতে জনসংখ্যা কমে যাওয়া এবং বেড়ে যাওয়া দুই-ই হল। এই পোস্ট অবশ্য সেই বাড়ির লোকজনদের নিয়ে নয়।সেই বাড়ি সংলগ্ন একটা বাগান ছিল, সেই বাগান নিয়ে।আন্দাজমত বিঘেখানেক জমির সেই বাগানটা ছিল ছোট্ট 'আমি'র কাছে এক বিশাল রহস্যময়, কিন্তু ভাললাগার , ভালবাসার জায়গা। সারা বছর মুখিয়ে থাকতাম গরমের ছুটি আর পুজোর ছুটির জন্য - ছুটি পড়লেই ব্যাগ বাক্স গুছিয়ে দিন পনেরোর জন্য চলে আসা হত মানকুন্ডু। আমরা বলতাম চন্দননগরের বাড়ি;
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: গল্প
এক দেশে এক সুন্দরী রাজকন্যা ছিল। তার নাম ছিল স্নো-হোয়াইট। তার একজন হিংসুটে সৎ-মা ছিল। সেই সৎ-মায়ের একটা জাদু- আয়না ছিল। সেই সৎ-মা জাদু-আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করতঃ
জাদু-আয়না, বলতো, সবচেয়ে সেরা সুন্দরী কে?
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
আজ একটা অন্যরকম দিন।
সকাল থেকে দেখি
মহানাগরিক আকাশ জুড়ে
ধূসর মেঘের ভীড় -
নাড়ছে কড়া জৈষ্ঠ ভোরে
প্রবল কালবৈশাখী।
আজ একটা অন্যরকম দিন।
হালকা ধূসর, গাঢ় ধূসর
টুপটাপ, ঝমঝম-
শ্রান্ত ধরার তৃষ্ণা মেটায়,
ফেরায় উদ্যম ;
ডেকে আনে হটাত অবসর।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
বেশ কয়েকদিন ধরেই ভাবছি কিছু বিষয় নিয়ে লিখব। কিন্তু গত আট-দশ দিনের ঘটনার ঘনঘটায় সেটা আর হয়ে উঠছিল না। কিন্তু আর দেরি করব না। এবার লিখেই ফেলি।এই লেখার শুরুতেই জানিয়ে রাখি, আমার লেখা কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। আমি "রাজনীতি"র কিছুই বুঝি না। আমার পরিবারে কেউই সক্রিয় রাজনী্তির সাথে যুক্ত নন, তাই কোন রকম সরাসরি অভিজ্ঞতা আমার নেই। স্কুল এবং কলেজে চার বছর পলিটিক্যাল সায়েন্স পড়েছি বটে, কিন্তু খুব মন দিয়ে পড়েছি, বা সব বুঝে পড়েছি, এই কথা বললে ভুল বলা হবে। বহু প্রচারিত, বহু আলোচিত, বহু ব্যবহৃত কোন সামাজিক -রাষ্ট্রনৈতিক '-বাদ'/ -ইস্ম নিয়ে কোন রকমের তাত্বিক আলোচনা করার যোগ্য আমি নই।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: এই সময়, এই জীবন
ইন্দিরাদির লেখাটা পড়ে মনে হল একটু কালার সাইকোলজি, বা রঙের মনস্তত্ব নিয়ে কথা বলা যাক।যাঁরা একটু রঙ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন (অথবা করেন না), ছবি-টবি আঁকেন (অথবা আঁকেন না)- তাঁরা মোটামুটি সবাই জানেন সবুজ রঙ তৈরি হয় দুটো প্রাথমিক রঙ - নীল আর হলুদ মিশিয়ে।যদি নীল আর হলুদ কে আলাদা করে ধরি, তাহলে বলি, নীল হল খোলা আকাশ, দিগন্ত বিস্তৃত সাগরের (আর লেকের) জলরাশির রঙ; নীলের সাথে জড়িয়ে আছে মুক্তচিন্তা, বিশ্বাস এবং প্রাজ্ঞতার আশ্বাস। আর আধুনিক জীবনে, নীল অবশ্যই পেশাদারিত্বের/প্রফেশন্যালিস্ম্ এর রঙ - একটু ভেবে দেখুন দেখি- আমাদের আশেপাশের কতগুলি সফল বহুজাতিক সংস্থার লোগোতে ব্যবহার করা হয়েছে নীল ?আর হলুদ - হাসিখুশি হলুদ হল প্রানোচ্ছলতা, স্ফূর্তি, আনন্দ আর উচ্ছলতার রঙ, আবেগের রঙ । ইয়াহু মেসেঞ্জার বা জি-টক, অথবার কফিহাউসের জাজু ইমোটিকন্স্- সব স্মাইলিরই কিন্তু প্রাথমিক রঙ হলুদ। স্কুল বাসের রঙ হলুদ। বাঁদরলাটির রং-ও ।আবার আরেকদিক থেকে দেখতে গেলে, কালার হুইলে নীল পড়ে শীতল রঙ/ কুল কালার্স্ এর দলে, আর হলুদ পরে উষ্ণ রঙ/ ওয়ার্ম কালার্স এর দলে।পশ্চিম বঙ্গে গত ১৩ই মে যে সবুজের জোয়ার এল (সুনামি বলব না, সুনামি বড় ভয়ানক সব স্মৃতি বহন করে আনে) , সেই জোয়ারের কথা মাথায় রেখেই বলি, এই সবুজে থাক নীল আর হলুদের সঠিক মিশেল - তৈরি হোক এক সজীব সবুজ - যেখানে পেশাদারিত্বের সাথে থাকবে সংবেদনশীলতা, মুক্তচিন্তা এসে মিশবে আবেগের সাথে, প্রাজ্ঞতার সাথে মিশে যাবে প্রানোচ্ছলতা। এ সবুজ হোক নাতিশীতোষ্ণ - চোখজোড়ানো, মন ভরানো। সবুজ যে প্রকৃতির রঙ, সজীবতার রঙ, আশার রঙ।[তা বলে লাল কি খারাপ রঙ? আমরা তো জানি লাল হল ভালবাসার রঙং। প্যাশনের রঙ। কৃষ্ণচূড়ারও রঙ। কি করে যে বদলে হয়ে গেছিল শুধুমাত্র রক্তের, লালফিতের আর সাদা অ্যাম্বাসেডরের মাথায় বাতির রঙ - কে জানে! ][ ইন্দিরাদির পোস্টে কমেন্ট রূপে প্রকাশিত কফিহাউসেরআড্ডার এই পাতায়]