সারাদিন ধরে কানে/চোখে আসা বিচ্ছিন্ন কিছু তথ্য, বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দুয়েকটি সরাসরি পড়িনি বা টিভিতে দেখিনি,তবে শুনেছি আস্থাভাজন মানুষদের থেকে, বা পড়েছি বিশ্বাসযোগ্য মানুষদের লেখায়। ১।পশ্চিমবঙ্গের প্রথম করোনা আক্রান্ত মানুষটি মারা গেলেন আজ।
২। মেসেজে খবর পেলাম, নিমতলা মহাশ্মশানে তাঁকে দাহ করতে নিয়ে যাওয়ার পরে নাকি স্থানীয় মানুষ তাঁর মরদেহ দাহ করতে দেবেন না বলে প্রতিবাদ করেছিলেন। শেষ অবধি কী হয়েছে জানিনা।
৩। বাজারের সব জিনিষের দাম বেড়েছে।কিছু নকল জিনিষ আসল বলে বিক্রি হচ্ছে, যেমন হ্যান্ড স্যানিটাইজার। কিন্তু অন্যদিকে যাদবপুর, বেথুন কলেজ, সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ছাত্রছাত্রীরা স্যানিটাইজার বানিয়ে অতি অল্পদামে বা বিনামূল্যে যোগান দিচ্ছেন।
৪। মাঝে মাঝেই হাওয়ার খবর ভাসছে যে 'করোনা হাওয়ায় ভাসছে' -এই খবরটা পুরোপুরি প্রমাণিত নয়, তাই অযথা আতঙ্কিত হয়ে মাস্ক খোঁজার দরকার নেই, জানিয়েছেন ফেসবুকের এক চিকিৎসকবন্ধু।
৫। কলকাতা মেডিকাল কলেজ সম্ভবতঃ শুধুমাত্র করোনার জন্য নিবেদিত ৩০০০ বেডের হাসপাতালে পরিবর্তিত হতে চলেছে আপাতভাবে।
৬। পশ্চিমের রাজ্যগুলি থেকে দিল্লিতে এসে পূবের রাজ্যে ফেরার বাস পাচ্ছেন না হাজার হাজার দিন-আনি-দিন-খাই মানুষ। তাঁরা কোথায় ,কীভাবে থাকবেন এবং কোথায় কীভাবে ফিরবেন জানা নেই।
৭।উত্তর আমেরিকার কিছু কিছু শহরের অবস্থা এতই খারাপ যে মিলিটারি নামানোর কথা ভাবা হচ্ছে, কারণ প্যানিকটা স্বাস্থ্য পরিষেবাকারীদের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।
৮। ইতালির চিকিৎসকেরা এমনই বিপর্যয়ে আছেন যে কিউবা থেকে চিকিৎসকের দল তাঁদের সাহায্য করতে আসছেন।
৯।ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন থেকে বলা হচ্ছে যে এখন সারা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে- অত্যধিক ঘন জনবসতি পূর্ণ ভারত কীভাবে করোনাকে কাবু করে, সেটা দেখার জন্য।ভারত যেহেতু এর আগে স্মল্প পক্স এবং পোলিও নির্মূল করতে পেরেছিল, তাই ভারতের থেকে সারা বিশ্বের প্রবল আশা।
১০। আজকেও সারা রাজ্য জুড়ে সরকারি কর্মী এবং পুলিশ জমায়েত এবং আড্ডা ভাঙতে ব্যস্ত থেকেছেন।
১১। আমার বাড়ির পাশের বস্তীর মাঠে আজকেও দিনভর ছেলেরা ফুটবল খেলেছে। বস্তীর পেছনের পাড়ায় বিকেলে খোল-করতাল সহযোগে হরিনামসংকীর্তন চলছিল।

https://www.facebook.com/mahaswetasmusings/photos/701371347067412