কয়েকটা রঙের গল্প
- Category: পাঁচমিশালি
(এই গদ্যটি আমার লেখার কথা নয়, দরকার ও ছিল না। একজন কিঞ্চিৎ দাবী জানালো বলে, ভাবলাম লিখি। এই গদ্যের শিরোনাম হতে পারে 'একটা শাড়ির গল্প', কিংবা 'কয়েকটা রঙের গল্প'; কিংবা 'কয়েকটা ছেঁড়া ছেঁড়া ভাবনা'। নাহলেও ক্ষতি নেই। সব কিছুই যে নিয়ম মেনে হতে নেই, সে আর কে না জানে?)
একটি আঁকাবাঁকা বৃষ্টিভেজা রচনা
- Category: পাঁচমিশালি
কলকেতা শহরে বর্ষা নাকি এসে গেছে, কিংবা আসছে, কিংবা এল বলে ! আবহাওয়া অফিস নাকি তেমনই বলেছিল । এমনিতে অবশ্য বোঝার উপায় নাই, জ্যৈষ্ঠের এই শেষ কয়দিন এক্কেরে ঠেসে ধরে নিঃশ্বাস বের করে নেওয়ার উপক্রম হয়েছে। সেই হারিয়ে যাওয়া ছোটবেলায়, বর্ষা এসে গেছে ব্যাপারটা বেশ বুঝতে পারতাম, যখন একদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখতাম সারা আকাশ কীরকম হালকা ছাই ছাই রঙের জলে ভরা ভরা মেঘে ছেয়ে গেছে; বাতাসে সোঁদা গন্ধ; ভেজা ভেজা ভাব চারদিকে; গাছপালার পাতাগুলোর ওপর থেকে লাল ধুলোর পরত ধুয়ে গিয়ে কেমন চকচকে নানা মাত্রার সবুজ দেখা যাচ্ছে। আজকের ধোঁয়া- ধুলোয় ভরা কলকাতায় সেরকম দৃশ্য যদি কোনোওবছরে হঠাৎ করে একদিন দেখতে পাই, তাহলে ধরে নিই ওটা ভুল করে হয়ে গেছে ! কলকাতার বর্ষা নিয়ে আমার কোনোও রোমান্টিসজম নেই।
ট্যাগ্ড্
- Category: গল্প
গরম কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে ঘরের স্বচ্ছ কাঁচের জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিল জোজো। বাইরেটা পুরোটাই সাদা বরফে ঢেকে আছে। আকাশ ও কেমন ঘোলাটে সাদা। বাইরের তাপমাত্রা মাইনাস দশ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরছে। ভেতরে অবশ্য সেটা বোঝার উপায় নেই।এইরকম একরঙা, শীতল প্রকৃতি দেখলে জোজোর দেশের কথা মনে পড়ে। বাংলার শীতকাল এমন বেরং হয়না, বরং ঠিক উল্টোটা। প্রায় বছর দুয়েক হয়ে গেল দেশে যাওয়া হয়নি। ভেবে রেখেছে গবেষণার কাজ পুরো গুটিয়ে তবেই একটা লম্বা ছুটি নিয়ে দেশে ফিরবে। ফিরেও অবশ্য বিশেষ কিছু করার থাকে না। জোজো একটু ঘরকুনো প্রকৃতির। নিজের পড়াশোনা নিয়েই থাকতে ভালোবাসে। সেই অর্থে কোনো গার্লফ্রেন্ডও নেই।
ঝরা রাধাচূড়া
- Category: পাঁচমিশালি
বহুদিন পর ঝড় বৃষ্টির কারণে, বেশ দেরী করে, মওকাবাজ অটোচালককে স্বাভাবিকের দ্বিগুনের বেশি ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফিরলাম। পাড়ার সব দোকানপাটই তখন প্রায় বন্ধ। একটি সদ্য প্রতিষ্ঠিত ঝাঁচকচককে দোকানে ঝলমলে আলোর নিচে দুই বিশাল লাল কাপড় ঢাকা হাঁড়ি, আর হাঁড়িদুটির পেছনে অনুরূপ মুখে দুটি মানুষ...অবশ্যই অনন্তের অপেক্ষায় বসে! বাঙালির ন্যাশনাল ফুডের গন্ধের সাথে মিলে মিশে গেছে সোঁদা বাতাসের সুবাস। পাড়ার সব্জিবিক্রেতা ছেলেটির ভ্যানের ওপর সদ্যস্নাত কলমী, নটে, পুঁই, পাট এলিয়ে পড়ে হ্যালোজেনের চড়া আলোয় চকচকে শরীর শুকোচ্ছে।
ব্যালকনির কোলাজ
- Category: পাঁচমিশালি
হেঁটমুন্ড বাদুরের মত মিলের রংচঙে ফুল-ছাপ-তোলা প্রত্যঙ্গবিহীন নিস্পৃহ রাতপোষাকগুলি হাওয়ায় দোলে;
প্রাচীন এবং দুর্মূল্য আইভরির মত হলদেটে অন্তর্বাস, ফ্যাকাসে গামছার আড়ালে নিভৃতি খোঁজে;
Cinnamon Love
- Category: Haiku
Scraping pieces of Life, lives
Our Cinnamon Love
একটি ভাসান-ড্যান্স মাফিক অ-'কারণ' পোস্ট
- Category: এই সময়, এই জীবন
আজ মোড়ে ঠাকুর ভাসানের জন্য বেজায় ভীড়। তার মধ্যেই কারা যেন খিচুড়ি প্রসাদ বিলি করছে, কেউ কেউ খুব মন দিয়ে তাই খাচ্ছে। তার থেকেও বেশি মন দিয়ে আইসক্রীম, ফুচকা, চাউমিন, মোমো ইত্যাদি খেয়ে চলেছে আরোও লোকজন। নানা মাপের ম্যাটাডোরে নানা মাপের কালীমাতা ঠাকুরানি সিঁদুর লেপিত সন্তান-সন্ততি সহ আবির্ভূত হচ্ছেন। দুম দাম চকোলেট বোমা ফাটছে। মধ্যেখানে হঠাৎ ট্যাং ট্যাং করে ঘন্টা বাজিয়ে দৌড় দিল একখানা দমকলগাড়ি- কোথায় আবার আগুন লাগল কে জানে ! দমকল স্টেশনের উল্টোদিকে পাড়ার সব থেকে বড় মা এখনও ডায়াস ছেড়ে নামার চেষ্টাই করেন নি, শেষ রাতে নামবেন মনে হয়। তাঁর সামনে দলবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে তাঁর সুসজ্জিত সন্তান-সন্ততিরা তাঁকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে গ্রুপি তুলছেন। সব মিলিয়ে মেলাই মেলা আর কী !
আমরা ___________ ওরা _________
- Category: এই সময়, এই জীবন
বেশ কয়েক বছর আগে, বিরিয়ানি রান্না করার জন্য ভালো মশলার খোঁজ করতে করতে গিয়ে ঢুকেছিলাম হগ মার্কেটে - সেখানে নাকি পাকিস্থান থেকে আমদানি করা খুব ভালো সব মুঘলাই রান্নার মশলা পাওয়া যায়। জন্মে থেকেই রাষ্ট্রযন্ত্র এবং জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমার দৌলতে জেনে আসছি পাকিস্থান আমাদের পরম শত্রু, এবং যে ধর্মাবলম্বীরা পাকিস্থানের সংখ্যাগুরু, আর এদেশে থেকেও (না কি) সর্বদা পাকিস্থানকে সর্ব বিষয়ে সমর্থন করে, তারা সব্বাই বেজায় খারাপ লোকজন ( কারণ তারা এটা-ওটা খায় যেটা নাকি খাওয়া উচিত না, এরকম -ওরকম পোষাক পরে যেগুলো পরা উচিত না, এটা ওটা করে যেগুলো করা উচিত না, আর তারা নাকি সব্বাই সবসময়ে কাশ্মীরকে ভারতের থেকে কেড়ে নেবে বলে কুমতলব আঁটছে ) । তাই বলে আমিশাষী ভারতীয়রা বিরিয়ানি-কাবাব-পরোটা-রেজালা ইত্যাদি খাবেনা পণ করেছে, এমন কথা কোনোদিন শুনিনি, এমন কথা তো কোনোদিনও মাথায় আসেনি, কেউ একুশে আইনও জারি করেনি, তাই তখন পাকিস্থানি মশলা খুঁজতে যাওয়াটাও দেশদ্রোহীতার পর্যায়ে পড়তে পারে- এমন আজগুবি চিন্তা দুঃস্বপ্নেও আসেনি- কিন্তু আজকের পরিপ্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে এমন হুজুগ কোনো দেশপ্রেমী তুললে অবাক হব না।
শিক্ষক দিবস পালন ইত্যাদি...
- Category: এই সময়, এই জীবন
শিক্ষক দিবসের সারাদিন ফেসবুকজুড়ে পোস্টগুলো প্রতিবছর পড়তে পড়তে বড়ই হীনমন্যতায় ভুগি। সব্বাই নিজেদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্পর্কে কত ভালো ভালো কথা লেখে। পড়ে মনে হয় এদের জীবনে কী সুখ...।এদের স্কুলে একজনও পচা দিদিমণি বা স্যার ছিলেন না। কেউ একটা খারাপ কথা লেখে না। সব্বাই লেখে তারা কতজন, কতরকমের শিক্ষকের কাছ থেকে কত কী পেয়েছে। অথচ আমি এক পাজি, আমার স্কুল -কলেজ বললেই আগেই সেই মুখ গুলো মনে পড়ে,যাদের নিয়ে কিছু না কিছু একটা গপ্পো আছে, এবং সেই গপ্পোগুলি কোনোটাই খুব উৎসাহব্যঞ্জক নয়। আমাকে জীবনকে প্রবলভাবে প্রভাবিত করে একেবারে খোলনলচে পাল্টে দিয়েছেন, এমন শিক্ষকের নাম বা মুখও সহজে মনে পড়ে না, সেটাও আমারই কৃতঘ্নতা নির্ঘাত।
একটি আগাপাশতলা অরৈখিক/ নন-লিনিয়ার পোস্ট
- Category: এই সময়, এই জীবন
গত মঙ্গলবার 'জগগা জাসুস' দেখতে গেছিলাম। ফিল্মটা দেখে কেমন লাগল, শুধুমাত্র সেই নিয়ে বিশ্লেষণী মতামতের জন্য এই লেখা নয়। তার সাথে লেখাটা আরো অন্যান্য অনেক কিছু নিয়ে। হঠাৎ সিদ্ধান্তে কিংবা প্রচুর ভাবনা চিন্তা করে, যেভাবেই হোক না কেন, ফিল্ম দেখতে যাওয়া মানে তো আর শুধু ফিল্মটা নয়, তার আগে পিছে ডাইনে বাঁয়ে সবকিছুই আমার কাছে সমানভাবে আকর্ষণীয়। বাজারে গেলে সব্জীর থেকে সব্জীওয়ালি মাসির সংসারের গপ্পে বেশি মন দিই, রেস্তোঁরায় খেতে গেলে নিজের পাতের চেয়ে অন্য টেবিলগুলির ছোট ছোট যে সব গল্পগুলি তৈরি হচ্ছে তাতে বেশি মন থাকে। সুধী পাঠক, এই অতিদীর্ঘ পোস্ট পড়া শুরু করার আগে তাই বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দেওয়া রইল। শেষে গিয়ে রেগে গেলে আমি দায়ী নই।
চড়াইদের ফ্ল্যাটবাড়ি
- Category: রম্যরচনা
অবশেষে তাঁরা এসেছেন। আমাদের বাড়িতে থাকতে এসেছে্ন।কিন্তু যেখানে থাকবেন ভেবেছিলাম, সেখানে থাকছেন না। নিজেদের মত জায়গা খুঁজে নিয়েছেন। এক চড়াই-দম্পতি, সাথে নিশ্চয় গোটা তিন-চারেক কুচো-কাচা। চোখে দেখতে পাচ্ছি না, সকালবেলার গলাবাজি শুনে আন্দাজ করতে হচ্ছে।
চতুর্দিকে...
- Category: ছড়া-কবিতা
শীতল বিকেল, হিমেল হাওয়া শিরশিরে
খুঁজছে কী বা অলিতে-গলিতে ঘুরে ফিরে ?
সুয্যি ডোবে ঝুপুস করে বড্ড তাড়া,
আঁধার ঘনায় শাল মুড়ি দেয় আমার পাড়া।
খুঁজে বেড়ায় ভালবাসার একটু তাপ-
চতুর্দিকে বড্ড বেশি মন খারাপ।
একটি জন্মান্তরের গল্প
- Category: অণুগল্প
একদা চীনদেশে দুই বুড়ো-বুড়ি ছিল;
নাম 'শুনছো' ও 'শুনলে'।
এই জন্মে তারা আদর্শ বাঙালি প্রৌঢ় দম্পতি।
আমার মা-বাবা।
(এই অণুগল্পটা বহুদিন ধরে লেখার ইচ্ছে ছিল। সুযোগ পেয়ে লিখে ফেললাম )
https://www.facebook.com/mahasweta.ray/posts/10154778477667494
TIFOTI-07- Who Owns/Packs Our Food
- Category: Things I Found on the Internet
So, want to know the secret?
ছায়াময়
- Category: সিনেমা দেখার পরে
শিমূলগড় গ্রামের রহস্যময় কান্ডকারখানা গুলো কেন ঘটছে? গগন সাঁপুইয়ের বাড়িতে যে ধরা পড়ল সে কি সত্যি চোর? জঙ্গলের মধ্যে কাকে খুঁজে পেল অলঙ্কার?
TIFOTI-06-Miscellaneous Findings of Despair and Hope
- Category: Things I Found on the Internet
Miscellaneous Findings of Despair and Hope
রচনাঃ আন্তর্জাতিক গান দিবস
- Category: রম্যরচনা
'গান ধরেছেন গ্রীষ্মকালে ভীষ্মলোচন শর্মা
আওয়াজ খানা দিচ্ছে হানা দিল্লি থেকে বর্মা ...'গান গাওয়ার জিনিষ। গান করাও যায়। গান ধরাও যায়। গান বাঁধাও যায়। গান বানানোও যায়। এত এত ক্রিয়াপদের ব্যবহার দেখে বোঝাই যাচ্ছে গান খুবই বহুমুখী একটা ব্যাপার।'গানের ওপারে' নামে একটা সিরিয়াল তৈরি হয়েছিল। সেখানে গানের থেকে বেশি প্রেম আর ডিজাইনার বাড়িঘর-জামাকাপড় ছিল।গান-পাউডার খুব ঝাল, কিন্তু গরম ভাতে মেখে খেতে খুব ভাল লাগে।গান্ধারী সারাটাজীবন অকারণে চোখ বেঁধে রাখলেন।
তিনি গান্ধারের মেয়ে বলে নাম গান্ধারী, কিন্তু তাঁর ভাইদের নাম কেন শকুনি আর মৎকুনি এই নিয়ে কোন বিগ-গান সম্মেলনে গবেষণাপত্র লেখা উচিত।'গান্ধর্বী' বানী বসুর লেখা একটা উপন্যাসের নাম। আমার পড়ে খুব ভাল লেগেছিল।গান্ধর্ব মতে বিয়ে করলে বাজে খরচা অনেক কমানো যায়, ভুল ভাল লোককে ডেকে এনে মাংস পোলাও খাওয়াতেও হয়না, আর হাবিজাবি উপহারে ঘর বোঝাই ও হয় না।গান্ধী পদবীযুক্ত মানুষদের নিয়ে চতুর্দিকে সর্বদাই বড় বেশি আলোচনা হয়। এতে ওনাদের প্রাইভেসি নষ্ট হয়।গান্ধীপোকার গায়ে বেজায় গন্ধ। যারা গান্ধীপোকা দেখেনি, তারা বুঝবেনা সেটা কি ভয়ানক।Günter Grass এর নামের শুরু Gün দিয়ে হলেও, উচ্চারণ গুন্টার গ্রাস। কেন, সেটা জার্মানরা জানে।গানের আগে 'বা' লাগালে সুন্দর ফুল-ফল-গাছ-পালায় ভরা এক ছবি মাথায় আসে।গানের পরে কিছু একটা লাগালে সেই শব্দটা সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখা যায় না।শেষে একটা কথাই বলব ম্যাডাম/ স্যারঃযত খুশি গান ধরুন, GUN ধরিবেন না।- হ্যাপি গান দিবস।(গত বছরের লেখা )
https://www.facebook.com/mahaswetasmusings/photos/304052790132605
Page 3 of 7