Posts
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
আজ একটা অন্যরকম দিন।
সকাল থেকে দেখি
মহানাগরিক আকাশ জুড়ে
ধূসর মেঘের ভীড় -
নাড়ছে কড়া জৈষ্ঠ ভোরে
প্রবল কালবৈশাখী।
আজ একটা অন্যরকম দিন।
হালকা ধূসর, গাঢ় ধূসর
টুপটাপ, ঝমঝম-
শ্রান্ত ধরার তৃষ্ণা মেটায়,
ফেরায় উদ্যম ;
ডেকে আনে হটাত অবসর।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
যদি দাও দোরটি খুলে,
বেরিয়ে যাব আমি,
দেখব নতুন কত কিছু,
সঙ্গী হবে তুমি?
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
"আমাদের ছোট নদী চলে আঁকে বাঁকে..."
ছোট্ট বেলার ছবি মন আজও ঠিক আঁকে;
"আমি যদি চাঁপার বনে চাঁপা হয়ে ফুটি..."
তবে বুঝি মন সত্যি সত্যি আজকে নেবে ছুটি;
"মাগো আমায় ছুটি দিতে বল..."
মন , দুজনাতে মিলে আজ পথ হাঁটি চল;
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
কে ছেড়েছে দল,
কে বেঁধেছে জোট?
কে কেন অকারণে
পাকিয়ে চলে ঘোঁট ?
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
আয় ঘুম যায় ঘুম বালিগন্জো দিয়ে
বাঁড়ুজ্জেদের ছুটকু ঘুমায় কোলবালিশ নিয়ে
ছুটকুরানী ঘুমের মধ্যে এপাশ ওপাশ করে
ঘুমপাড়ানি মাসি-পিসি বেকায়দায় পড়ে
তারা টুপটুপ, আধো জোছনা, পাড়া হোক নিঃঝুম
ছুটকুরানীর দুচোখ জুড়ে নেমে আসুক ঘুম।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
গড়িয়াহাটার মোড়ে,
মহানাগরিক ভীড়ে,
একটা পলাশ গাছ,
হটাত ফাগুন ভোরে
গড়িয়াহাটার মোড়ে,
মহানাগরিক ভীড়ে,
একটা পলাশ গাছ,
হটাত ফাগুন ভোরে,
ধূসর নীল আকাশ
(আর )মৃদু দখিনা বাতাস
পটভূমিতে রেখে, আঁকে
লাল-কমলা আভাস।
বাসে বা ফুটপাথে
ব্যস্ত চলার পথে,
বসন্তরাজ সহযাত্রী
নতুন পাতার রথে।
সাত রঙা বেলোয়াড়ি
ফাগুন-ফেব্রুয়ারি,
ইচ্ছেমতন সাজিয়ে তোলে
ধূলি ধূসর নগরী।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
ত্রিকোণ পার্কের ধারটি ঘেঁসে
আষাঢ় কিংবা শ্রাবণ মাসে
বোকা গাছটা ফোটায় নিয়ম মাফিক কদমফুল,
আঁধার সাঁঝে পুলিশ গাড়ি
ঝিলের ধারে রুলের বাড়ি
প্রশাসনিক সংজ্ঞা লেখে - প্রেমে পড়া ভুল !
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
লাল খোপ খোপ নতুন গামছা
লাল পাড় কোরা শাড়ি
মেয়েটা কাল যাবে শ্বশুরবাড়ি
হলুদ কুটবে সাতটি এয়ো
সাতটি পান-সুপারি
মেয়েটা কাল যাবে শ্বশুরবাড়ি
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: ছড়া-কবিতা
অনেকদিন পরে ঘরে ফিরবে
আমার জন্য কি আনবে?
শেষ বিকেলের নীলচে ছাই- রঙ্গা শাড়ি এনো।
পাড়ে যেন থাকে ধূসর মেঘের মোটিফ,
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: গল্প
ঘুম থেকে উঠে, চোখ কচলাতে কচলাতে, টয়লেটের দিকে না গিয়ে প্রথমেই বারান্দার দিকে পা বাড়ালো মিতিল। দরজার পর্দাটা সাবধানে সরিয়ে উঁকি দিল। শীত শেষের দিকে। তাই সকালের আলো দিব্যি ফুটেছে। সূয্যিমামা এখনো পুরো তেজে সেজেগুজে অফিস খুলে বসেননি। বেশ একটা নরম নরম আলো চারিদিকে। কোণের দিকের গ্রিলের গায়ে বাঁধা রয়েছে দুটো মাটির হাঁড়ি। মিতিল সেই হাঁড়ি দুটোর দিকে ভালো করে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। নাহ! আজকেও আসেনি। মনমরা হয়ে ফের বিছানামুখো হল মিতিল। ধুস... ভাল্লাগে না।
কিন্তু বিছানায় একটা পা ওঠানোর আগেই ঘরে ঢুকলেন মা।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: গল্প
গরম কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে ঘরের স্বচ্ছ কাঁচের জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিল জোজো। বাইরেটা পুরোটাই সাদা বরফে ঢেকে আছে। আকাশ ও কেমন ঘোলাটে সাদা। বাইরের তাপমাত্রা মাইনাস দশ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরছে। ভেতরে অবশ্য সেটা বোঝার উপায় নেই।এইরকম একরঙা, শীতল প্রকৃতি দেখলে জোজোর দেশের কথা মনে পড়ে। বাংলার শীতকাল এমন বেরং হয়না, বরং ঠিক উল্টোটা। প্রায় বছর দুয়েক হয়ে গেল দেশে যাওয়া হয়নি। ভেবে রেখেছে গবেষণার কাজ পুরো গুটিয়ে তবেই একটা লম্বা ছুটি নিয়ে দেশে ফিরবে। ফিরেও অবশ্য বিশেষ কিছু করার থাকে না। জোজো একটু ঘরকুনো প্রকৃতির। নিজের পড়াশোনা নিয়েই থাকতে ভালোবাসে। সেই অর্থে কোনো গার্লফ্রেন্ডও নেই।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: গল্প
১০ই আগস্ট, ২০০২
-হাই
-হ্যালো
-ইউজারনেম দেখে মনেই হচ্ছে তুমি মেয়ে,ঠিক তো?
-না, আমি মহিলার ছদ্মবেশে পুরুষ।
-হাহা, তোমার ইউজারনেম বেশ ইন্টারেস্টিং।
-থ্যানক ইউ!
-দ্যস্ট্রংসেকেন্ডপ্রিন্সেস
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: গল্প
এক দেশে এক সুন্দরী রাজকন্যা ছিল। তার নাম ছিল স্নো-হোয়াইট। তার একজন হিংসুটে সৎ-মা ছিল। সেই সৎ-মায়ের একটা জাদু- আয়না ছিল। সেই সৎ-মা জাদু-আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করতঃ
জাদু-আয়না, বলতো, সবচেয়ে সেরা সুন্দরী কে?
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: প্রবন্ধ
সাধারণ ভাবে আমাদের জনমানসে এমনই এক ধারণা প্রচলিত আছে যে 'রামায়ণ' - সেটা যে ভাষাতেই এবং যে সময়েই প্রকাশিত হয়ে থাকুক না কেন, সেটি হল বাল্মিকী রচিত রামায়ণের সরাসরি অনুবাদ। রামায়ণের কাহিনির কোনো দ্বিতীয় দৃষ্টিকোণ থাকা সম্ভব নয়। অধ্যাপক রামানুজন এই প্রবন্ধে বাল্মিকী রচিত সংস্কৃত রামায়ণ, কম্বন রচিত তামিল রামায়ণ এবং থাই ভাষায় রচিত একটি রামায়ণের তুলনামূলক আলোচনা করেন এবং দেখান কীভাবে স্থান-কাল-পাত্র ভেদে, 'রামায়ণ'-এর একাধিক রূপ দেখতে পাওয়া যায়।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: প্রবন্ধ
আমার ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে একটা টেপ-রেকর্ডার ছিল। বাবার শখ ছিল নানাধরনের গান শোনার। একদিন বাবা বাজার থেকে কয়েকটা ক্যাসেট নিয়ে এলেন। সেগুলি গানের নয়। সেগুলির ওপরে ছিল এক চেনা মুখের ছবি। বড় বড় চোখ, লম্বাটে গঠন, আর এক অদ্ভূত মজাদার নির্মল হাসি। তিনি আমাদের চেনা। বাড়িতে বাংলা এবং হিন্দি ছবি দেখার ব্যাপারে ঘোরতর নিষেধাজ্ঞা ছিল, কিন্তু তা সত্বেও তাঁকে আমরা চিনতাম, কারন তাঁর অভিনয় করা অনেক ছবিই আমাদের দেখতে দেওয়া হয়েছিল। ক্যাসেট চালানো হল। বাঙাল ভাষায় অভাবনীয় সেই উপস্থাপনা শুনতে শুনতে কিছুক্ষনের মধ্যেই আমাদের সবার হাসতে হাসতে দম ফেটে যাওয়ার উপক্রম। বলা যেতে পারে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেই আমার প্রথম সত্যিকারের পরিচয়, এবং বাঙাল ভাষার সঙ্গে প্রথম ভালবাসা।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: রম্যরচনা
শব্দদুটির সংজ্ঞা লেখো এবং দুটিকে ব্যবহার করে বাক্য রচনা করো।
১) অভিমান, ২) অপমান
উত্তরঃ
১) অভিমানঃ এক্স মাইনাস ক্যাটেগরির ব্যক্তিগত অনুভূতি। যেটা পাব ভেবেছিলাম সেটা না পেয়ে যেটা হয় ; সেই হওয়াটা যে ভুল, সেটা জনসমক্ষে স্বীকার করাটা বাধ্যতামূলক, নইলে অভিমানের কোনো মূল্য নাই।
২) অপমানঃ জেড প্লাস ক্যাটেগরির ব্যক্তিগত অনুভূতি, যা দিনে কতবার কেন , কখন, কোথায় , কী জন্য হবে বলা খুব মুশকিল। এই অনুভূতি নিয়মিত জনসমক্ষে প্রচার করা জরুরী,নইলে অপমানবোধের কোনো মূল্য নাই।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: রম্যরচনা
ভাগ্যিস ফেসবুক ছিল - নইলে কি আর নিবেদিতা লেখার জন্য এমন বিষয় ভাবতো ! তবে কিনা ফেসবুক থাকার ফলে কী কী হয়েছে আর কী কী হয়নি, সেটার তালিকা তো বেজায় দীর্ঘ, আর সেসব কথা লিখলে কিনা একটা আস্ত অভিধান মাফিক বই হয়ে যাবে, তাই জায়গার, ধৈর্য্যের এবং সময়ের অভাবে, সব কিছু না লিখে মোটে দুটো বিষয় নিয়ে লিখব।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: রম্যরচনা
অবশেষে তাঁরা এসেছেন। আমাদের বাড়িতে থাকতে এসেছে্ন।কিন্তু যেখানে থাকবেন ভেবেছিলাম, সেখানে থাকছেন না। নিজেদের মত জায়গা খুঁজে নিয়েছেন। এক চড়াই-দম্পতি, সাথে নিশ্চয় গোটা তিন-চারেক কুচো-কাচা। চোখে দেখতে পাচ্ছি না, সকালবেলার গলাবাজি শুনে আন্দাজ করতে হচ্ছে।
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: রম্যরচনা
'গান ধরেছেন গ্রীষ্মকালে ভীষ্মলোচন শর্মা
আওয়াজ খানা দিচ্ছে হানা দিল্লি থেকে বর্মা ...'গান গাওয়ার জিনিষ। গান করাও যায়। গান ধরাও যায়। গান বাঁধাও যায়। গান বানানোও যায়। এত এত ক্রিয়াপদের ব্যবহার দেখে বোঝাই যাচ্ছে গান খুবই বহুমুখী একটা ব্যাপার।'গানের ওপারে' নামে একটা সিরিয়াল তৈরি হয়েছিল। সেখানে গানের থেকে বেশি প্রেম আর ডিজাইনার বাড়িঘর-জামাকাপড় ছিল।গান-পাউডার খুব ঝাল, কিন্তু গরম ভাতে মেখে খেতে খুব ভাল লাগে।গান্ধারী সারাটাজীবন অকারণে চোখ বেঁধে রাখলেন।
তিনি গান্ধারের মেয়ে বলে নাম গান্ধারী, কিন্তু তাঁর ভাইদের নাম কেন শকুনি আর মৎকুনি এই নিয়ে কোন বিগ-গান সম্মেলনে গবেষণাপত্র লেখা উচিত।'গান্ধর্বী' বানী বসুর লেখা একটা উপন্যাসের নাম। আমার পড়ে খুব ভাল লেগেছিল।গান্ধর্ব মতে বিয়ে করলে বাজে খরচা অনেক কমানো যায়, ভুল ভাল লোককে ডেকে এনে মাংস পোলাও খাওয়াতেও হয়না, আর হাবিজাবি উপহারে ঘর বোঝাই ও হয় না।গান্ধী পদবীযুক্ত মানুষদের নিয়ে চতুর্দিকে সর্বদাই বড় বেশি আলোচনা হয়। এতে ওনাদের প্রাইভেসি নষ্ট হয়।গান্ধীপোকার গায়ে বেজায় গন্ধ। যারা গান্ধীপোকা দেখেনি, তারা বুঝবেনা সেটা কি ভয়ানক।Günter Grass এর নামের শুরু Gün দিয়ে হলেও, উচ্চারণ গুন্টার গ্রাস। কেন, সেটা জার্মানরা জানে।গানের আগে 'বা' লাগালে সুন্দর ফুল-ফল-গাছ-পালায় ভরা এক ছবি মাথায় আসে।গানের পরে কিছু একটা লাগালে সেই শব্দটা সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখা যায় না।শেষে একটা কথাই বলব ম্যাডাম/ স্যারঃযত খুশি গান ধরুন, GUN ধরিবেন না।- হ্যাপি গান দিবস।(গত বছরের লেখা )
https://www.facebook.com/mahaswetasmusings/photos/304052790132605
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: রম্যরচনা
পছন্দের ফলকে ঘিরে চেতনা প্রবাহে ঘুরতে থাকা টুকরো যত ছবি
- Details
- Written by: Mahasweta
- Category: রম্যরচনা
হোম-অফিস হওয়ার মজা হল, রোজ রাস্তায় বেরতে হয়না। অফিস টাইমের ভীড়, ঘামের গন্ধ ভরা বাস, হঠাৎ থেমে যাওয়া মেট্রো রেল , অটোরিকশা বা ট্যাক্সি স্ট্রাইক, কিছু নিয়েই খুব একটা মাথা ঘামাতে হয়না। কিন্তু এর একটা কুফল ও আছে। মাঝেমধ্যে কাজের চক্করে বেরোতে হলে পুরো ঘেমে-নেয়ে-কেস-খেয়ে একশা কান্ড। তার মধ্যে যদি আবার বৃষ্টি পড়ে, ঝড় ওঠে বা মিটিং-মিছিল থাকে, তাহলে তো হয়েই গেল। আমি পুরো, ইংরেজিতে যাকে বলে, 'ক্লু-লেস' সেটাই হয়ে যাই। তখন আমাকে দেখে কে বলবে এই আমি লোকাল ট্রেনে ডেলি-পাষন্ডগিরিও করেছি।