পোস্টার। নাদানিয়াঁ । করণ জোহর

নাদাঁন মন নিয়ে রাত জেগে নেটফ্লিক্সে 'নাদানিয়াঁ' দেখার পর নাদাঁন সামারি:

১। ইব্রাহিম আলি খানকে বেশ অনেক সময়েই বিভিন্ন অ্যাঙ্গল থেকে , সেই 'ইয়ে দিল্লগী' জমানার নাদাঁন সইফ আলি খানের মত দেখতে; ম্যানারিজম ও অনেকটাই মেলে। শুধু কন্ঠস্বর বরুণ ধাওয়ানের মত বলে আমার মাঝে মাঝেই 'দেখছি-সেফ-শুনছি-ভারুণ-ভাবছি-সেরুণ' হয়ে যাচ্ছিল। তবে,বয়সকালে ছোঁড়া উন্নতি করবে।

২। নেট খুঁজে দেখলাম খুশী কাপুর ও নাকি তার দিদির মত বেশ খানিক কসমেটিক সার্জারি করেছে। ব্যাপারটা খুব খারাপ দাঁড়ায়নি, কিন্তু অভিনয়পুর এখনোও অনেকটাই দূর।

৩। কারোর কারোর কিছুতেই বয়স বাড়ে না, যে যতই চুল সাদা হোক আর গায়ে গত্তি লাগুক। যেমন যুগল হংসরাজ ( না কি হান্সরাজ?) আর কুশল চক্রবর্তী । দ্বিতীয়জনকে দেখলেই আমার সোনার কেল্লা মনে পড়ে, আর যুগলকে এতদিন পরে দেখেও আমার সেই ' ঘর সে নিকলতে হি' মনে পড়ল। হিরোর বাবা হিসাবে আর সিরিয়াসলি নিতেই পারলাম না।

৪। অর্চনা পূরণ সিং কী কারণে করণ জোহরের ত্রিশ বছরের পুরনো ট্র্যাপে আবারও পা দিয়েছেন কে জানে! ওঁকে দেখেই আমার ভয় ধরে গেছিল, এর পরেই না অনুপম খের বা বোমান ইরানি দ্বিতীয় প্রিন্সিপাল হয়ে হাজির হন।

৫। বঙ্গদেশের 'বাবুসোনা' এবং ' সোনা মেয়ে'-দের লিমিটেড উচ্চতা ও ওজন দেখে দেখে অভ্যস্ত আমার চোখে এমন দামড়া ছেলেপুলেদের ক্লাস টুয়েল্ভ্‌ মেনে নিতে বেশ চোখে লাগে। হতেও পারে, ভারতের পশ্চিমপারের ছেলেপুলেরা হোলসেলে চেহারায় বড়োসড়ো হয়, সেটাতে অভ্যস্ত নই বলেই চোখে লাগে। অবশ্য ভুঁড়িওয়ালা নায়কদের কলেজ ছাত্র হয়ে নাচতে-প্রেম-করতে-মারপিট করতে দেখে আমরা অভ্যস্ত। তবুও ওটিটির বাজারে চব্বিশ বছরের দুটো ছেলেমেয়েকে কী করতে সতেরো-আঠেরো বছর বয়সী স্কুলের ছাত্রছাত্রী ভূমিকায় দেখাতে হল, সেটা ধর্মাটিক আর নেটফ্লিক্স জানে।

৬। পাগলা দাশুর থেকে ইন্‌স্পিরেশন নিয়ে, করণ জোহরকে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে, মুখে সেলোটেপ এঁটে, চোখের চশমাটা খুলে দিয়ে, কানের কাছে ফুল ভলিউমে স্পিকার লাগিয়ে অন্তত একশো আটবার রিপিট করা দরকার যে, স্টার কিডদের ডেবিউ ছবি হচ্ছে বলেই, কুছ কুছ হোতা হ্যায় + আর্চিজ + ম্যায়ঁ হুঁ না + ওইরকমই আরও অনেকগুলো একই ফর্মূলা গুলে আরেকটা অপ্রয়োজনীয় আদুরে প্রেমকাহিনি না বানালেও চলত। লোকটা চাইলে এর থেকে ভালো প্রোডাক্ট বাজারে ছাড়তে পারে।